২১ আগস্ট হত্যা মামলা

দণ্ডিত সাবেক দুই পুলিশকর্তাকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ

সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল ছবি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যাযজ্ঞের মামলায় দণ্ডিত পুলিশের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান খানকে সর্বোচ্চ আদালত জামিন দেননি।

জামিন চেয়ে সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমানের করা আবেদন আজ রোববার খারিক করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এ কারণে সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমানকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমানকে বিচারিক আদালত দুটি ধারায় চার বছর কারাদণ্ড দেন। এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন এ দুজন। একই সঙ্গে তাঁরা জামিন চেয়েও আবেদন করেন, যা গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে খারিজ হয়।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমান জামিন চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।

আপিল বিভাগে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জামিলুর রহমান।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে জামিলুর প্রথম আলোকে বলেন, সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমানের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ২৮ জানুয়ারি তাঁরা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেই থেকে তাঁরা কারাগারে আছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ কয়েক শ নেতা-কর্মী।

ভয়ংকর সেই গ্রেনেড হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) সদস্য। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।