চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ তিনজনকে আজ রোববার সকালে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশ। দগ্ধ আরও দুজনকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসক দল যাবে। এই দলের নেতৃত্বে থাকবেন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।
শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন শিল্প পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান (৩৭), ডিপোর সিকিউরিটি অ্যাডমিন খালেদুল রহমান (৫৮) ও সিকিউরিটি ম্যানেজার একেএস মকফারুল (৬৫)।
গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের ৮ নম্বর সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণে ৩২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দগ্ধ এসআই কামরুল হাসানের খালাতো ভাই রাজধানীর বাসিন্দা মো. আল জাবেদ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কামরুল হাসান দগ্ধ হন। তাঁর পা গোড়ালি থেকে পুড়ে গেছে। কেটেও গেছে গভীরভাবে। দুই হাতও পুড়ে গেছে। কামরুল হাসানের স্ত্রী এবং ছয় বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে কিশোরগঞ্জে থাকতেন। খবর পেয়ে স্ত্রী-সন্তান কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় হাসপাতালে এসেছেন।
ডিপোর কর্মী দগ্ধ খালেদুর রহমানের (৫৫) জামাই মিনহাজুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, জরুরি বিভাগে আনার পর চিকিৎসকেরা তাঁর শ্বশুরকে দেখছেন।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
রাতভর বোনজামাইকে খুঁজেছেন মোহাম্মদ আলী
মালিকপক্ষ আসেনি, কী কেমিক্যাল জানতে পারছে না উদ্ধারকারীরা
বিস্ফোরণে আহতরা বললেন, নতুন জীবন পেলাম
কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
ডিপোতে আগুন জ্বলছে, কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণ
চিকিৎসাধীন তিনজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে রোগীদের নিয়ে আসা দরকার, তাঁদের যেন ঢাকায় নিয়ে আসি এবং আমরা যেন চট্টগ্রাম যাই। আমরা কাল চট্টগ্রাম যাব।’
বিস্ফোরণের পর ছোটাছুটি-দৌড়াদৌড়ি করে লোকজন দগ্ধ হয়েছেন ও শ্বাসনালি পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছেন সামন্ত লাল সেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানান সামন্ত লাল সেন।