থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে ঢুকছে মাদক—ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। এটি উচ্চমূল্যের মাদক। এই মাদক ব্যবহার করে ধনী শ্রেণির মানুষ। গতকাল বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশ থেকে দুই কেজি আইসসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম আবদুল্লাহ (৩১)। জব্দ করা আইসের দাম প্রায় ১০ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে (ডিএনসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার টেকনাফের ২৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন জাদিমুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইসসহ আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএনসির টেকনাফের বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা ওরফে মুকুলের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে দুই কেজি আইস পাওয়া যায়, যার দাম ১০ কোটি টাকা। আবদুল্লাহর ভাই আবদুর রহমানও এর সঙ্গে জড়িত। তিনি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ডিএনসির মহাপরিচালক আহসানুল জব্বার আরও বলেন, ক্রিস্টাল মিয়ানমার থেকে দেশে আনার জন্য গ্রিন টির প্যাকেট ব্যবহার করা হয়েছিল। আইস বা ক্রিস্টাল¯ইয়াবার চেয়ে ১০০ গুণ শক্তিশালী মাদক। এর দামও অনেক বেশি। এটি সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় অত্যন্তšজনপ্রিয় মাদক। এটি বাংলাদেশে ব্যবহার হয় কি না, এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জব্দ করা আইস দেশে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল নাকি অন্য কোনো দেশে পাচার করা হতো, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এর আগে কয়েকবার আইসের বাজারজাত করার চেষ্টা হয়েছিল। এর আগে ২০১৯ সালে ভাটারা এলাকা থেকে ৫২০ গ্রাম আইসসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিএনসি।