প্রায় এক দশক ধরে ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে ভারতকে চাপে রাখার দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তবে কবে নাগাদ এই চুক্তি হতে পারে, তার কোনো সময়সীমা জানাতে পারেননি তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের দুই দিন আগে আজ বুধবার তিনি বাংলাদেশ ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক আলোচনার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এলে তাঁকে তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে তিনি বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আমাকে সারাক্ষণ প্রশ্ন করা হয়। এ বিষয়ে আমি বলেছি, তিস্তা চুক্তির খসড়ার প্রতিটি পাতায় পাতায় সই হয়েছিল। আর যে খসড়ায় সই হয়, সেটা বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। কী কারণে চুক্তিটি হয়নি, কারণটা আপনারাও জানেন। আমরাও জানি। আমরা তিস্তা নিয়ে ভারতকে প্রেশারে রেখেছি। আপনারাও রেখেছেন।’
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। তারপর ভারতে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও তিস্তা চুক্তির জট আর খোলেনি; যদিও মোদির বিজেপি সরকার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তিস্তা চুক্তি সইয়ের আশা করা যায় কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বোধ হয় বিজেপিকে জিজ্ঞেস করলেই ভালো হয়। আমরা আশা করি, তিস্তা চুক্তি হবে।’