তিস্তায় পানি বাড়তে পারে, অন্য সবখানে কমছে

ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ সব বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দুদু মিয়া নামের এক যুবক ছাগলের জন্য কলাগাছের ভেলায় প্রায় ৩০ মিনিট পাড়ি দিয়ে পাটের পাতা সংগ্রহ করে বাড়িতে ফিরছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গুজিমারি এলাকা থেকে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

দেশের হাওর অঞ্চলের বেশির ভাগ জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জে বন্যার পানি বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার কুড়িগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত পানি কমছে। তবে তিস্তা অববাহিকার উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় আগামী দুই দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। এতে ওই অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্রের পূর্বাভাসে এমনটা বলা হয়েছে।

অন্যদিকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভারতের গঙ্গার উজানেও বৃষ্টি বাড়তে পারে। এরই মধ্যে গঙ্গা অববাহিকার বাংলাদেশ অংশের পদ্মায় বৃষ্টি বাড়তে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্রের পানিও যমুনা হয়ে পদ্মায় এসে জড়ো হতে পারে। আর আগামীকালের মধ্যে পদ্মাপাড়ের জেলা শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও রাজবাড়ীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এর ফলে আগামী সপ্তাহজুড়ে পদ্মাপাড়ের নিম্নাঞ্চলে বন্যা থাকতে পারে। বাকি এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, দেশের মধ্যাঞ্চল ছাড়া বাকি এলাকায় বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। যে এলাকা দিয়ে পানি নামছে, সেখানে স্বল্পস্থায়ী বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পদ্মাপাড়ের জেলাগুলোতেও বন্যা বেশি দিন স্থায়ী হবে না। এর ফলে সামগ্রিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে যে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, তা কমে এসেছে। সামগ্রিকভাবে সারা দেশেই বৃষ্টি কমে আসছে। তবে তিন-চার দিন বিরতি দিয়ে আবারও বৃষ্টি হতে পারে।