আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন চাঁদপুর-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী মো. জালাল উদ্দিন। তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন। আজ রোববার এ–সংক্রান্ত চিঠি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেন ওই প্রার্থীর স্ত্রী শাহানাজ শারমিন জালাল।
সিইসির কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. জালাল উদ্দিন অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ করে দিতে চিঠিতে আবেদন করেন বিএনপি প্রার্থী। চাঁদপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) প্রত্যাহার দাবি করেন তিনি।
জালাল উদ্দিন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের ভয়ভীতিতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন তিনি। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হতে পারছেন না। বিএনপির কর্মীরা বের হওয়ার চেষ্টা করলেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা পুলিশের সহায়তায় তাঁদের মারধর করছেন। চাঁদপুর-২ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর থানার ওসি কবির হোসেন ও মতলব দক্ষিণ থানার ওসি কে এম ইকবাল হোসেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মদদ দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ছাড়া বিএনপি প্রার্থী জালাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ রাখতে এই তিন পুলিশ কর্মকর্তা সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। জালাল উদ্দিন মন্তব্য করেন, ওই তিন কর্মকর্তাকে স্বপদে বহাল রেখে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি তাঁদের প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান।