ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সুফিয়া কামাল হলের তিন ছাত্রীকে অভিভাবক ডেকে এনে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ফেসবুকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে এটি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য কথা বলেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে গুজব, উসকানি ও মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে। কোনো গুজবে কান দেবেন না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না। তিনি বলেন, হল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকসুলভ আচরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে কয়েকজন ছাত্রীকে কর্তৃপক্ষ ‘বের করে দেয়’। এই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান পরিষ্কার করেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ‘আন্দোলনকারী আর উসকানিদাতা এক নয়। আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঐতিহ্যপূর্ণ। এটা খুব স্বাভাবিক। যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করতে পারে যে কেউ। তবে উসকানি দেওয়া আর আন্দোলন এক নয়। আমরা আন্দোলনকে সমর্থন করি, উসকানিকে নয়।’ কোটা সংস্কার আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলেও এতে অপশক্তি ঢুকে গিয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। সেই অপশক্তিই নাশকতার সঙ্গে জড়িত বলে জানান উপাচার্য।
আখতারুজ্জামান জানান, কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়রানি করেনি। হাজার হাজার ছাত্র এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যে মাত্র ২৫/২৬ জনকে চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি। তিনি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত না হয়ে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভুল সংবাদ বিভ্রান্তি তৈরি করে।
আরও পড়ুন:
প্রতিবাদ করায় হলের ফটক থেকেই বিদায়!
রাতের আঁধারে ছাত্রী তাড়িয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে প্রশাসন: নুরুল হক
গভীর রাতে ছাত্রীদের বের করে দিয়েছে ঢাবির কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষ
ছাত্রী নির্যাতনে ঢাবিতে রাতে উত্তেজনা, ছাত্রলীগ নেত্রী বহিষ্কার
ইফফাতের বহিষ্কারাদেশ তুলে নিল ছাত্রলীগ
মুর্শেদাসহ সুফিয়া কামাল হলের ২৪ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ
ইফফাতের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিশ্ববিদ্যালয়ও