ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন এই আসনের আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। সেদিন কেন্দ্রগুলোর ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে ভোট গ্রহণের এই তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের নেতা মঈন উদ্দিনের চেয়ে ১০ হাজার ১৫৯ ভোটে এগিয়ে আছেন। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট পড়েছে। আর কলার ছড়ি প্রতীকে মঈন উদ্দিন পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট।
আজ সকালে আশুগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়নের সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরুষ ভোটারদের যথেষ্ট ভিড় দেখা গেছে। নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৮৪০। বুথের সংখ্যা ৭টি। ৪টি বুথে ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট দেখা গেছে। ৬টিতে নৌকার এজেন্ট পাওয়া গেছে। তিনটিতে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট।
প্রথম এক ঘণ্টায় নারীদের চার বুথে মাত্র ২৫টি ভোট পড়েছে। তবে তিন শতাধিক পুরুষ ভোটার ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রে ব্যাপক নিরাপত্তা দেখা গেছে। এই কেন্দ্রে প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাজিনা সারোয়ার। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ।
সকাল ১০টার দিকে যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। নারী ভোটাররা অবশ্য আসতে শুরু করেছেন।
স্থগিত হওয়া তিন কেন্দ্রের মোট ভোটার ১০ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৮৪০ জন, সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৫ জন ও বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৭১৭ জন।