তালোড়ায় ফাঁকা কেন্দ্রেও ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া ইউপি নির্বাচনে নারী ভোটারের লাইন । দেবখন্ড রিয়াজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় , দুপচাঁচিয়া , বগুড়া , ২১ জুন । ছবি: প্রথম আলো
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া ইউপি নির্বাচনে নারী ভোটারের লাইন । দেবখন্ড রিয়াজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় , দুপচাঁচিয়া , বগুড়া , ২১ জুন । ছবি: প্রথম আলো

আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। এ নির্বাচনে ইউনিয়নের গ্রামীণ কইল হাট শেডে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র। সকাল থেকে এ কেন্দ্রে তেমন ভোটার ছিলেন না। প্রথম এক ঘণ্টায় ভোট দেন ৭৯ জন। বেলা ১১টার পর বিচ্ছিন্নভাবে বেড়েছে কিছু নারী ভোটারের উপস্থিতি।

কেন্দ্রে ভোটার–খরার একই চিত্র ছিল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। তবে বেলা তিনটায় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহ মো. মাহমুদুন্নবীর দাবি, সাত ঘণ্টায় পাঁচটি বুথে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ। কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ২৬। সেই হিসাবে সাত ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৭১৮টি। প্রতি ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন প্রায় ১০৩ জন।

কেন্দ্রে ভোটার–খরা থাকলেও অস্বাভাবিক ভোট পড়ার বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, বেলা একটার পর কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। দুপুর পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৭-১০ শতাংশ। তবে বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২৪ শতাংশ।

এ কেন্দ্রের বাইরে ভোটার–খরার চিত্র ছিল তালোড়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রেও। দুপুর ১২টায় এ কেন্দ্রের চিত্র ছিল ভোটারশূন্য, ফাঁকা। ভোট গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বুথে বুথে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৫৩০ জন। বেলা দুইটায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফিরোজ শাহ বলেন, ৬ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৭টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে প্রথম ঘণ্টায় ১৮২, দ্বিতীয় ঘণ্টায় ২০৬, তৃতীয় ঘণ্টায় ১৯২, চতুর্থ ঘণ্টায় ১৯৮, পঞ্চম ঘণ্টায় ১৭০ এবং ৬ষ্ঠ ঘণ্টায় ৮৯টি ভোট পড়েছে।

দিনভর ভোটার–খরার চিত্র ছিল তালোড়া ইউনিয়নের আলতাফনগর ইবনে সৈয়দ উচ্চবিদ্যালয়, পরানপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এবং দেবখণ্ড রিয়াজউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রেও।

রিটানিং কর্মকর্তা রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তালোড়া ইউপি নির্বাচনে মোট ভোটার ১০ হাজার ৯৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৪৯১ এবং নারী ৫ হাজার ৪৬৯ জন। ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বেলা একটা পর্যন্ত ৯ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশ। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়জন হলেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আবদুর রাজ্জাক (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন তালুকদার (আনারস), মেহেরুল ইসলাম (অটোরিকশা), অশোক কুমার দেব (লাঙল), ছফির উদ্দিন (মোটরসাইকেল) এবং মিনহাজ (হাতপাখা)। নির্বাচনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি।