বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে জনসংখ্যার বড় অংশটিই এখনো এর আওতার বাইরে। ইন্টারনেট ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের দাম এখনো বেশি। ব্যবহারও বৈচিত্র্যপূর্ণ নয়। কখনো আবার নিরাপত্তার যুক্তিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নানা সমস্যা তৈরি করে।
সব মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের চ্যালেঞ্জ বহুমুখী। একদিকে আছে এর দাম কমানো আর কার্যকর ব্যবহার বাড়ানো। বিনোদন বা সামাজিক যোগাযোগের গণ্ডি ছাপিয়ে ইন্টারনেট তথা তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তির অদায়িত্বশীল ব্যবহার যেন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাষ্ট্রের অন্যায্য ক্ষতি না করে, সরকারকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অযাচিত নিয়ন্ত্রণ করা চলবে না।
এই চ্যালেঞ্জগুলো ভেঙে ব্যাখ্যা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সেটা কার্যত সরকারের কাছে এক দীর্ঘ প্রত্যাশাপত্র: ইন্টারনেটসহ তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের দাম কমানো ও মান বাড়ানো; দেশে পণ্যগুলোর উৎপাদন বাড়ানো; সফটওয়্যারসহ দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং দেশজুড়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
ইন্টারনেট সুলভ করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তিবিদেরা বড় বিনিয়োগ আনতে বলেছেন। হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বলেছেন। তাঁরা দেশীয় কোম্পানির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
বিশেষজ্ঞদের দূরদৃষ্টি বলছে, শিল্প খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থান কমবে। সে সমস্যা মোকাবিলার কৌশলও সরকারকে এখনই ঠিক করতে হবে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম রোকোনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে দেশে এত দিন প্রাথমিক পর্যায়ের কাজই হয়েছে। যেমন নথিপত্র-চিঠি চালাচালি, কথা বলা বা ইন্টারনেট ঘাঁটা। এখন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। ডিজিটাল অর্থনীতি তৈরি করতে হবে।
তিন মেয়াদের ইশতেহারে
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বলেছিল, নির্বাচিত হলে দলটি ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
১০ বছর পর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে দলটি বলেছে, তারা পুরোনো সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের অগ্রযাত্রা সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান করতে পেরেছে। উদাহরণ হিসেবে ইশতেহারে ই-পাসপোর্ট, ই-ভিসা, শিক্ষার প্রসারে ও আর্থিক লেনদেনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ও সাবমেরিন কেব্ল-৩ স্থাপনের কথা আছে। আরও আছে ৭০০ কোটি ডলারের তথ্যপ্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি রপ্তানির কথা, ইন্টারনেট ও মুঠোফোন ব্যবহারের খরচ ‘যৌক্তিক পর্যায়ে’ নামিয়ে আনার কথা।
ইশতেহারে দলটি আরও বলেছে, ২০২১-২৩ সালের মধ্যে তারা পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা বা ফাইভ–জি চালু করবে। এ ছাড়া তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) মতো ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাবে।
>• বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এখনো কম
• ইন্টারনেট ও অন্য তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের দাম বেশি
• তথ্যপ্রযুক্তিতে অযাচিত নিয়ন্ত্রণ ক্ষতি করতে পারে
• ইন্টারনেট সুলভ করতে বড় বিনিয়োগ দরকার
ব্যবহার এখনো কম
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওয়েবসাইটে দেওয়া সর্বশেষ হিসাব বলছে, দেশে ইন্টারনেট সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ৯ কোটির বেশি। এ হিসাবের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে কেউ একবার ইন্টারনেটে প্রবেশ করলেই তাকে সেবাগ্রহীতা বলে গণ্য করা হয়।
বেসরকারি গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান কান্তার এমআরবি নিয়মিত জাতীয় মিডিয়া জরিপ (এনএমএস) করে থাকে। গত বছরের জরিপ অনুযায়ী দেশে ১৫ বা তার বেশি বয়সী প্রায় ৩ কোটি মানুষ (২৬%) সপ্তাহে অন্তত এক দিন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এর অল্প কিছু বেশি মানুষ (২৮%) ৯০ দিনের মধ্যে এক দিন ইন্টারনেটের নাগাল পায়।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি গবেষণা অনুযায়ী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সরকারঘোষিত সংখ্যার চেয়ে আরও অনেক কম। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উন্নয়নশীল ১৮টি দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে করা এ সমীক্ষা বেরিয়েছে গত অক্টোবরে। সমীক্ষাটি করেছে লার্ন এশিয়া, রিসার্চ আইসিটি আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সংস্থা ডিআইআরএসআই।
সমীক্ষাটি বলছে, বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শুধু মোজাম্বিক ও রুয়ান্ডায় ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বাংলাদেশের চেয়ে কম। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এমনকি মিয়ানমারেও এ হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।
সমীক্ষাটি আরও বলছে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষের মুঠোফোন আছে। কিন্তু তার মাত্র এক-চতুর্থাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারোপযোগী স্মার্টফোন। এদিকে ২০১৬ সালের এনএমএস দেখেছিল, দেড় কোটির মতো ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী মানুষ (১৫%) মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
ইন্টারনেটের দাম ও মান
কেব্ল ডটকম নামের ব্রিটিশ একটি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটের দাম পর্যালোচনা করে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ২৩০টি দেশের মোবাইল ফোন ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দামের তুলনামূলক চিত্র দিয়েছে। দেখা যায়, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দামে বাংলাদেশ ৫১তম। এ দেশে মোবাইল ফোন ইন্টারনেটের ব্যয়ও প্রতিবেশীদের চেয়ে বেশি।
গত বছর অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেট নামের একটি সংস্থার প্রতিবেদন বলেছে, বাংলাদেশে এক গিগাবাইট মোবাইল ফোন ইন্টারনেটের দাম মাথাপিছু আয়ের ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ হার নেপাল ছাড়া প্রতিবেশী সব দেশের চেয়ে বেশি।
আরেক সমস্যা, বাংলাদেশে মুঠোফোনে ইন্টারনেট যা-ও বা বিস্তৃত হয়েছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহার একেবারেই ছড়ায়নি। বিটিআরসির হিসাবে, মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ৮ কোটির বেশি। অথচ ব্রডব্যান্ডের গ্রাহক ১ কোটির কম, ৫৮ লাখের মতো।
অধ্যাপক রোকোনুজ্জামান বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম প্রতি গিগাবাইট ৫ টাকায় নামিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ব্রডব্যান্ডসেবার সম্প্রসারণ দরকার। আমরা সেটা করতে পারিনি।’
সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ব্রডব্যান্ডসেবার উপযোগী নয়। আবার বলা হয়, অপটিক্যাল ফাইবারে ব্যান্ডউইডথ পরিবহনের ব্যয় অনেক বেশি। অন্যদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্রডব্যান্ডসেবার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। গ্রাহকদের অভিযোগ, তাঁরা বেশি দামে নিম্নমানের ইন্টারনেট দেন।
অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের প্রতিবেদনে পাঁচটি সুপারিশ ছিল। প্রথমটিই হলো, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতা বিস্তৃত করার কৌশল প্রণয়ন। দেশের সব উপজেলার সাধারণ মানুষকে ব্রডব্যান্ডের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অ্যালায়েন্স বিটিআরসিকে তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ব্যবহারের কথাও বলেছে।
বিনিয়োগ ও উৎপাদন চাই
দেশে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য আর যন্ত্রপাতি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সরকার ৯৪টি হার্ডওয়্যার শিল্প উপকরণের আমদানি শুল্ক একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে। মুঠোফোন উৎপাদনকেও উৎসাহ দিচ্ছে। সরকার তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিচ্ছে।
কমপক্ষে পাঁচটি কোম্পানি মুঠোফোন সংযোজন অথবা উৎপাদন শুরু করেছে। কমপক্ষে দুটি কোম্পানি ল্যাপটপ তৈরির কারখানা করেছে। তবে কোম্পানিগুলো বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ আমদানি করে। অর্থাৎ তথ্যপ্রযুক্তি যন্ত্রপাতির বাজার মূলত আমদানিনির্ভর।
অবশ্য সফটওয়্যার তৈরিতে বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে। দেশে এখন ১ হাজারের বেশি কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি এবং অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিসেবার সঙ্গে যুক্ত। ২৫০টির বেশি কোম্পানি বিভিন্ন দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করে। কিন্তু উদ্যোক্তারা বলেন, দেশে বেশি বিক্রি হয় বিদেশি সফটওয়্যার। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য ১২টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। কয়েকটিতে এখনই বিনিয়োগ হতে পারে। তবে কেউ এগিয়ে আসছে না।
২০১১ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে প্রোগ্রামিংয়ের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। বছরে ১০ হাজারের মতো ছেলেমেয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে বেরোয়।
কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ে অনেক বিদ্যালয়েই তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষক নেই। পর্যাপ্ত কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জাম নেই। সুতরাং হাতেকলমে প্রশিক্ষণ হচ্ছে না।
মুতাসিম বিল্লাহ রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগে পড়ছেন। তিনি ফ্রিল্যান্স কাজও করেন।
প্রথম আলোকে মুতাসিম বলেন, ‘আমার মনে হয় দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম অনেক বেশি। আমি মাসে ১ হাজার টাকা দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে এত ব্যয় কঠিন।’ তিনি বলেন, শুধু দাম বেশি নয়, সেবার মানও নিম্ন। মাসে অন্তত চার-পাঁচ দিন সংযোগ থাকে না।’
দায়িত্বশীলতা বনাম নিয়ন্ত্রণ
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করে সাম্প্রদায়িক হামলা, অপপ্রচার, মানহানি, যৌন হয়রানি, উসকানি বা গুজব ছড়ানোর নজির রয়েছে। ২০১২ সালে ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা হয়।
সম্প্রতি নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকালে কয়েকজন নানা ধরনের গুজব ছড়ায়। অতি সম্প্রতি আইনবহির্ভূতভাবে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে জেরা করে তার ভিডিও প্রচারের অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে করা অপরাধ রুখতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। তবে এ আইনের কয়েকটি ধারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং মানুষকে হয়রানি করতে ব্যবহৃত হতে পারে বলে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা উদ্বিগ্ন। তাঁরা এ ধারাগুলোর সংশোধন দাবি করছেন।
বেসরকারি সংস্থা আমাদের গ্রাম তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রেজা সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, আইনটি সব পক্ষের মতামত আমলে নিয়ে করা উচিত ছিল। অন্যদিকে, মানুষকে সামাজিক যোগাযোগে দায়িত্বশীল হতে শেখাতে হবে।
আইনি নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও স্পর্শকাতর বিষয় বা সময়ে ইন্টারনেট, ব্লগ, অনলাইন সংবাদমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে অযাচিতভাবে বাধাগ্রস্ত করার উদাহরণ আছে। এই খাতে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, এমন নিয়ন্ত্রণ সার্বিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আগামী পর্ব: বাংলাদেশ বিমান