‘বাংলাদেশের পথযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান
‘বাংলাদেশের পথযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান

ঢাবির ‘গুণগত উৎকর্ষে’ অ্যালামনাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর পাশাপাশি গুণগত উৎকর্ষ নিশ্চিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে লক্ষ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ অচল থাকাকে ‘দুঃখের ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মিলনমেলার আয়োজনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দিনভর মিলনমেলার এ আয়োজন চলে৷ এতে দুপুরে একটি পর্বে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন৷ আলোচনা পর্ব শেষে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের শত গুণীজন সম্মাননা (মরণোত্তর)’ শীর্ষক অনুষ্ঠান গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে৷

‘বাংলাদেশের পথযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘অতীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অগ্রসর ছিল৷ সংস্কৃতি ও শিক্ষা এখানে পরস্পরের পরিপূরক ছিল৷ আবাসিক হলগুলো সাংস্কৃতিক কর্মে মুখর ছিল৷ আমি কেবল শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের কাছে বা পাঠাগারেই শিখিনি, হল ছাত্র সংসদের কার্যক্রম (নাটক, বিতর্ক, প্রকাশনা) থেকেও শিখেছি৷ আমি ৯ বছর ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ ছিলাম৷ সেই ৯ বছর দেশে সামরিক শাসন ছিল৷ তখনো ছাত্র সংসদ ছিল৷ তারপর যখন দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এল, আশ্চর্যের বিষয় যে তখন থেকে ছাত্র সংসদের কাজকর্ম ও নির্বাচন থেমে গেল৷ এ নির্বাচন ছিল বার্ষিক উৎসব৷ সেখানে মেধাবীরা বেরিয়ে আসত৷ কোনো মেধাহীন ছাত্র কখনো নির্বাচিত হতে পারত না৷ তাকে বিতর্ক, গান, নাটক, খেলাধুলা ইত্যাদি করতে হতো৷ অর্থাৎ চৌকস ছেলেরা নির্বাচিত হতো এবং সেখান থেকে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গঠিত হতো৷ এটি না থাকাটা দুঃখের ব্যাপার৷’

সাংস্কৃতিক জীবন প্রাণবন্ত, অগ্রসরমাণ ও উন্নত না হলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই বিশ্ববিদ্যালয় নয় বলে মন্তব্য করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী৷ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি গুণগত উৎকর্ষ যাতে হয়, পরিমাণগত বিকাশের সঙ্গে গুণগত বিকাশ যাতে হয়, সেদিকে ভবিষ্যতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন লক্ষ রাখতে পারে৷ অর্থাৎ গবেষণা, প্রকাশনা ও অনুবাদ—এ তিন কাজকে উৎসাহিত করতে হবে৷ দেশ থেকে কেবল পুঁজি বা সম্পদ চলে যাচ্ছে, তা-ই নয়, একই সঙ্গে আমাদের মানবিক সম্পদ মেধাও পাচার হয়ে যাচ্ছে৷ মেধা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে, মেধাবীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান ও কাজ করতে পারেন, দেশে যাতে মেধা বিকাশের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়, সে কাজে মনোযোগী হওয়াও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একটা বড় কর্তব্য ৷ কেবল পুঁজি পাচার নয়, একই সঙ্গে মেধা পাচার থামানোর অঙ্গীকারও আমাদের নিতে হবে৷’

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মিলনমেলার এই আয়োজন চলে দিনভর

বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অবদানের কথাও তুলে ধরেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী৷ তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল্যায়নের নিরিখ অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল্যায়নের নিরিখ থেকে ভিন্ন হতে বাধ্য৷ কেননা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-গবেষণা ও প্রকাশনায়ই অবদান রাখেনি৷ এ রাষ্ট্র, সমাজ ও জাতি গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে ভূমিকা নিয়েছে, অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সেই ভূমিকা নিয়ে কখনো নিয়েছে বলে আমরা জানি না৷ এই বিশ্ববিদ্যালয় একসময়ের পশ্চাৎপদ পূর্ববঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটিয়েছে৷ এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার শিক্ষা দিয়েছে৷ এ বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিকতা, সহমর্মিতা ও আর্তমানুষের জন্য ক্রন্দন করতে শিখিয়েছে৷ নারীশিক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানকেও স্মরণ করতে হবে৷’

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী

এ পর্বে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কম আছে, যেটি একটি জাতির জাতীয় সত্তার উন্মেষ থেকে বিজয় পর্যন্ত ভূমিকা রেখেছে৷ এ কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷ আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ঘটে শিক্ষকের মানের ওপর৷ এটি নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা করে কোনো সেন্টার অব এক্সেলেন্স করা যেতে পারে, যেখানে শিক্ষা ও শিক্ষকের মান কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ হামিদা আখতার বেগম বলেন, ‘শুধু অতীতের গৌরবগাথা নিয়েই আমরা চলব, তা নয়৷ বরং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে আমরা যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু অবদান রাখতে পারি, সেই চেষ্টা করা দরকার৷ মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য ক্যাম্পাসে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটাতে হবে৷ এর জন্য অ্যালামনাইকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে৷ ’

এ আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ১০০ বছর কোন পথে হাঁটবে, সেই বিষয়টি ভাবার জন্য আমি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই৷ একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ থাকবে, তাঁরা যেন খুব দ্রুততার সঙ্গে একটি একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন৷ আবাসন সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যারও মূল চিহ্নিত করা দরকার৷’

বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে কারিগরের ভূমিকা পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷ একটি সহজ-সরল বাংলাদেশ নির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি৷’

সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়ের সঞ্চালনায় এ পর্বে অন্যদের মধ্যে লেখক ও রাজনীতিক ইনাম আহমদ চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহ বক্তব্য দেন৷

উদ্বোধনী পর্বে যা হলো

এর আগে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শতবর্ষের মিলনমেলার উদ্বোধন হয় শনিবার সকাল ১০টায়৷ উদ্বোধনের পর শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত তিনটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়৷ একই সঙ্গে ‘শিল্পীর রং-তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করা হয়৷

অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্তটি ছবিতে ধরে রাখছেন একজন

এ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অর্থসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মো. মতিউল ইসলাম৷ নিজের কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন ৭২ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করা সাবেক এই আমলা৷ তিনি বলেন, ‘দেশকে আমি যা দিয়েছি, তার চাইতে দেশ আমাকে অনেক বেশি দিয়েছে৷’

এ পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতায়, একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের সমন্বয়হীনতা এবং সম্পদের অপ্রতুলতা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে৷ অন্যদিকে আবাসিক সংকটে জর্জরিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কিছু বিভাগ একত্রীকরণ, সময়োপযোগী নতুন বিভাগ খোলা ও শিক্ষার্থীসংখ্যা পুনর্বণ্টনের বিষয়টি এখন ভাবা যেতে পারে৷ এ ছাড়া উন্নত দেশ থেকে পিএইচডি বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সীমিত সুযোগ, বুদ্ধিবৃত্তির চর্চায় অতীতের চেয়ে পিছিয়ে পড়া এবং সান্ধ্যকোর্সের সহজ আয়ের কারণে গবেষণা-উদ্ভাবনের অনাগ্রহকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করলে অন্যায় হবে না৷ এসব থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্বের উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও স্বপ্নময়-সাহসী উদ্যোগ নেওয়া৷’

এ পর্যন্ত ৩৩ লাখ শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ডিগ্রি দিয়েছে বলে জানান সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবসহ নলেজ ইকোনমির এ যুগে আমরা যেন নলেজ সোসাইটিতে আরও ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সেই উদ্যোগ নেবে বলে আশা করি৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে অ্যালামনাই কাজ করবে, এটি এ মিলনমেলায় আমার প্রত্যাশা৷’

আলোচনা সভা শেষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পদধারীরা সবাই মিলে ছবি তোলেন

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এ পর্বে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, সাবেক সভাপতি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ৷ এতে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যালামনাইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অ্যালামনাইয়ের শতবর্ষ উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী ও সহসভাপতি শাইখ সিরাজ৷ শতবর্ষ উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব আশরাফুল হক এ পর্বে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷

১০০ প্রাক্তনকে মরণোত্তর সম্মাননা

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের শতবর্ষের এ মিলনমেলা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল অবদান রাখা ১০০ ব্যক্তিকে মরণোত্তর সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে৷ সংবর্ধনা পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন: স্যার পি জে হার্টগ, নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব খাজা সলিমুল্লাহ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, জিল্লুর রহমান, স্যার এ এফ রহমান, রমেশচন্দ্র মজুমদার, আবু সাঈদ চৌধুরী, মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী, ভাষাশহীদ আবুল বরকত, মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, কাজী মোতাহার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, নীলিমা ইব্রাহীম, আহমদ শরীফ, সরদার ফজলুল করিম, মো. রফিকুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান, লীলা নাগ, দ্বিজেন শর্মা, পল্লীকবি জসীমউদদীন, শামসুর রাহমান, হাসান হাফিজুর রহমান, কথাসাহিত্যিক শওকত আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, বুদ্ধদেব বসু, নলিনীকান্ত ভট্টশালী, জহির রায়হান, আলমগীর কবির, তারেক মাসুদ, সেলিম আল দীন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, সাংবাদিক আতাউস সামাদ, শহীদুল্লা কায়সার, শাহ এ এস এম কিবরিয়া প্রমুখ৷
এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।