কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানায় এসব মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এসব মামলায় নাম উল্লেখ করে কাউকে আসামি করা হয়নি। ‘অজ্ঞাতনামা বিপুলসংখ্যক’ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগ সূত্র জানায়, চারটি মামলার দুটি করেছেন শাহবাগ থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই)। বাকি দুটির একটি করেছেন পুলিশের বিশেষ শাখার একজন পরিদর্শক। আর অপর মামলাটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান। কোনো মামলাতেই আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, এর মধ্যে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান বাদী হয়ে ‘অজ্ঞাতনামাদের’ আসামি করে একটি মামলা করেছেন (মামলা নম্বর-২০)।
মামলার বাদী কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, অজ্ঞাতনামা শতাধিক দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের প্রাণনাশের চেষ্টা ও আনুমানিক দেড় কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ওই রাতে দুটি গাড়ি পুরোপুরি পুড়িয়ে দিয়েছে এবং দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
কর্তব্যকাজে বাধা ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। মামলায় (মামলা নম্বর-২১) তিনি উল্লেখ করেন, তিনি দোয়েল চত্বর এলাকায় দায়িত্বরত থাকাকালীন তাঁর মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয় অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ‘অজ্ঞাতনামা বিপুলসংখ্যক’ আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন (মামলা নম্বর-২২)।
পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানার আরেক এসআই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ‘অজ্ঞাতনামা বিপুলসংখ্যক’ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন।