ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের ভাষ্য, শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভবনের চতুর্থ তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় মহাজোটের প্রার্থীর লোকজন তাঁদের ধাক্কা দেন। এতে সালাউদ্দিন আহত হন। মহাজোটের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
দল ও পরিবারের ভাষ্য, আজ রোববার সকালে শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গেলে সালাউদ্দিন আহমেদসহ তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর হামলা হয়।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার এস এম রেজাউর কবির প্রথম আলোকে বলেন, সালাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ১০-১২ জন লোক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রের চতুর্থ তলার ৪০৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে জানতে চান, তাঁর কোনো পোলিং এজেন্ট নেই কেন। পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। সহকারীর প্রিসাইডিং অফিসার এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি (সহকারীর প্রিসাইডিং) পোলিং এজেন্ট নিয়ে আসার জন্য বলেন।
প্রিসাইডিং অফিসার এস এম রেজাউর কবিরের ভাষ্য, দায়িত্ব পালনরত পুলিশের এএসআই মো. আরিফের সঙ্গে একপর্যায়ে দুর্ব্যবহার করেন সালাউদ্দিন। এই পুলিশ কর্মকর্তাকে চারতলা থেকে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে অন্য কক্ষেও যান সালাউদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সকাল সোয়া নয়টার দিকে ভবনের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় কে বা কারা ধাক্কা দেয় সালাউদ্দিনকে। এ সময় তাঁর চশমায় নাকে আঘাত লাগে। পায়েও ব্যথা পান। পরে সালাউদ্দিনসহ অন্যরা চলে যান। সালাউদ্দিন তাঁর বাসভবনে যান। সেখান থেকে তিনি যখন বের হন, তখন তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তমাখা ব্যান্ডজ দেখা যায়। তাঁকে গেন্ডারিয়া এলাকার আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের উপকমিশনার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজগর আলী হাসপাতালে যান। ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সালাউদ্দিনের কোনো সাহায্য দরকার কি না, তা জানতে চান তিনি। জবাবে তিনি বলেন, আজগর আলী হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেবেন না।
পরে সালাউদ্দিনকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সালাউদ্দিনের ছেলে মো. রবিনের অভিযোগ, তাঁরা ভোট দিতে শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তাঁরা আগেই খবর পান, কেন্দ্র থেকে তাঁদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে ভবনের চতুর্থ তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় মহাজোটের প্রার্থীর লোকজন তাঁদের ধাক্কা দেন। তাঁদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এতে সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন আহত হন। সালাউদ্দিনকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা ভালো নয়।
শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পিংকুর ভাষ্য, সালাউদ্দিনের লোকজনই আগে তাঁদের ধাক্কা মেরেছে। পরে তাঁদের মধ্যে কেউ একজন পাল্টা ধাক্কা মেরেছে। ধাক্কাধাক্কিতে সালাউদ্দিন সামান্য আহত হয়ে থাকতে পারেন।
মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার দাবি, সালাউদ্দিনের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। তাঁর (বাবলা) কর্মীকে লাথি মারতে গিয়ে সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে সালাউদ্দিন আহত হয়েছেন।