কৌশলগত কারণে ঢাকা শহরের ১৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনে দুজন করে প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার আসন তিনটিতে একক প্রার্থী দিয়ে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে দলটি।
আসন তিনটি হচ্ছে ঢাকা-৫, ঢাকা-৭ ও ঢাকা ১৭। এই তিন আসনে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন হাবিবুর রহমান মোল্লা, হাজি মোহাম্মদ সেলিম ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।
ঢাকা জেলার ২০টি সংসদীয় আসনের ৪ থেকে ১৮ নম্বর পর্যন্ত ১৫টি আসন পড়েছে ঢাকা মহানগরীর মধ্যে। এই আসনগুলোর মধ্যে ৪, ৬ ও ৮ নম্বর আসন তিনটি আওয়ামী লীগ তার মিত্রদের ছেড়ে দিয়েছে। আর কৌশলগত কারণে ৫, ৭ ও ১৭ নম্বর আসনে দুই দফায় দুজন করে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকা নিয়ে ঢাকা-৫ আসন। এর বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা। তিনি ২০০৮ ও ১৯৯৬ সালেও আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও এই আসন থেকে তিনি প্রাথমিক দলীয় মনোনয়ন পান। পরে এই আসনে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলামকেও প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত হাবিবুর রহমানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হলো।
>এর আগে ঢাকা–৫, ৭ ও ১৭ নম্বর আসনে দুজন করে প্রার্থীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
ঢাকা-৭ আসনে বর্তমান সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিম। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি আবার আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আসনটিতে এবারও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০০৮ সালে তাঁর ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। হাইকোর্টে আপিলের পর ২০১১ সালে সাজা বাতিল হয়। দুদক রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেন এবং পুনঃ শুনানির আদেশ দেন। এখনো শুনানি চলছে। আসনটিতে আওয়ামী লীগের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতকে। নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করায় এই আসনে দল থেকেও চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন হাজি সেলিম।
ঢাকা-১৭ আসনে গত নির্বাচনে বিএনএফকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এতে এই আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ। এই আসনে প্রথমে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের খানকেও প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এই আসনে চূড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন পান ফারুক।