ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

শিল্প ও সেবা খাতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ ও অন্যান্য শিক্ষাবিনিময় কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

গতকাল বুধবার আশুলিয়ায় ডিআইইউ ক্যাম্পাসে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে অংশীদারত্বমূলক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্য নিয়েই মূলত এ সমঝোতা স্মারক করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শিল্পসহায়তা কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কারিগরি জ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম লুৎফর রহমান বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, এর শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে উৎসাহদানের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সহায়তা দিয়ে বাস্তব ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেওয়া। আর সে লক্ষ্যেই ডিআইইউ সম্প্রতি এর অধীন একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনোভেশন সেন্টার (আইআইসি) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইইউর সহ–উপাচার্য এস এম মাহবুবুল হক মজুমদার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মমিনুল হক মজুমদার। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডিআইইউর অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার নাদির বিন আলী।

বিটাকের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (টিটিআই) পরিচালক ইহসানুল করিম ও ডিআইইউর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. আরিফ হাসান, ডিপার্টমেন্ট অব ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের বিভাগীয় প্রধান মো. কামরুজ্জামান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী বিভাগীয় প্রধান দারা আবদুস সাত্তারসহ বিটাক ও ডিআইইউর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অনুষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে বিটাক ও ডিআইইউর কর্মকর্তারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনোভেশন সেন্টারের নির্মাণাধীন এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রায় দেড় লাখ বর্গফুট জমির ওপর বহুতল বিশিষ্ট এ ইনোভেশন সেন্টারে শিল্প স্থাপনের জন্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো এবং পণ্য প্রদর্শন ও বিপণনের ব্যবস্থা থাকবে।