রাজধানীর ডেমরায় দুই শিশু হত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আজ বুধবার এই কমিটি গঠন করা হয়।
ডেমরায় একটি ফ্ল্যাট থেকে গত সোমবার দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু ওই দিন দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল। রাত নয়টার দিকে তাদের লাশ পাওয়া যায়। নিহত দুই শিশুর নাম ফারিয়া আক্তার দোলা (৫) ও নুসরাত জাহান (৪)। হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন গোলাম মোস্তফাকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গা প্রেস এলাকা থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে ডেমরা থানার পুলিশ। মোস্তফার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এরপরই আজিজুলকে ডেমরার কাউন্সিলের মোল্লাব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, আজিজুল বাওয়ানী সম্পর্কে মোস্তফার মামাতো ভাই। তাঁরা দুজন মিলে ইয়াবা সেবন করে দুই শিশুকে ধর্ষণের ফন্দি আঁটেন। দুই শিশু যখন চিৎকার করছিল, তখন মোস্তফা ও আজিজুল সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান চালিয়ে দেন। একপর্যায়ে দোলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আজিজুল। এরপর নুসরাতকে গামছার ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন মোস্তফা।
এই মর্মান্তিক ঘটনা তদন্তে আজই তদন্ত শুরু করেছে মানবাধিকার কমিশন। তদন্ত কমিটির প্রধান কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ সাইদুল কবীর। দুই সদস্য হলেন উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক ও উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম।
বেলা তিনটার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ সাইদুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কাল সন্ধ্যার মধ্যে আমাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’