শরীয়তপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা নিচ্ছে তাঁর ছেলে। বুধবার রাতে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মায়ের মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া ওই গৃহবধূর নাম শারমিন আক্তার (৩০)। তিনি স্থানীয় ‘রুদ্রবার্তা’ পত্রিকার সাংবাদিক জাবেদ শেখের স্ত্রী। পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন শারমিন। তাঁদের ছেলে তামজীদ (১০) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ নিয়ে শরীয়তপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চার নারী ও এক পুরুষের মৃত্যু হলো। গত ৩০ জুলাই জাজিরার স্কুলশিক্ষক বর্ষা আক্তার (২৭), ৫ আগস্ট ভেদরগঞ্জের ইতালিপ্রবাসী হাফসা লিপি (৩০), ২১ আগস্ট ডামুড্যার গৃহবধূ সুরাইয়া বেগম (৩৭) ও ২৫ আগস্ট গোসাইরহাটে মো. দাদন লস্কর (২৫) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
শারমিনের পরিবার জানায়, ২২ আগস্ট শারমিনের জ্বর অনুভূত হয়। জ্বর ক্রমেই বাড়তে থাকলে ২৩ আগস্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত হয়। পরের দিন অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে ঢাকা নেওয়া হয়।
শারমিনের স্বামী জাবেদ শেখ বলেন, ‘আমার দুই ছেলে তামজীদ (১০) ও তানজীল (৩)। আমার স্ত্রী শারমিন ও বড় ছেলে তামজীদ একই সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। সন্তান দুটি রেখে ওর মা চিরতরে চলে গেল। এখন বড় ছেলেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছেলের অবস্থাও তেমন ভালো না।’ স্ত্রীর লাশ ফরিদপুর সদর উপজেলার নরসিংহদিয়া গ্রামে দাফন হবে বলেও জানান তিনি।
গৃহবধূ শারমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন মো. খলিলুর রহমান বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৪২১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১ জন। তবে জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটা ভালো মনে হচ্ছে। কারণ আগের চেয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমছে।