বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা লাশটি এক কিশোরের। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চে তল্লাশি চালিয়ে এই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
লঞ্চডুবির ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী দল প্রথমে লঞ্চটি খেজুরবাগ ঘাট এলাকায় নদীতে উল্টো করে। পরে এর ভেতরে তল্লাশি চালায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো তল্লাশি চলছে।
গতকাল সোমবার সকাল নয়টার দিকে এমএল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। সদরঘাটের কাছেই ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকায় নদীতে লঞ্চটি ডুবে যায়। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক জানান, ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চ সদরঘাট লালপট্টি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। লঞ্চটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত ১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চ ময়ূর-২ জব্দ করা হয়েছে। লঞ্চের চালক পলাতক।
এ ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, সুকানিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক মো. শামসুল বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন।