পায়রা বন্দরের প্রবেশমুখের কাছে ডুবে যাওয়া কনটেইনার জাহাজে মেট্রোরেলের সরঞ্জাম, ইস্পাত পণ্য ও প্রসাধনসামগ্রী রয়েছে বলে জানা গেছে। জাহাজে থাকা কনটেইনারের মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ফেরার পথে গত বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে বঙ্গোপসাগরে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসের মুখে পড়ে ‘এমভি গালফ আরগো’ জাহাজটি। বিপদ এড়াতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন পায়রা বন্দরের দিকে নিরাপদ স্থানে জাহাজটি নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পায়রা বন্দরের ‘ফেয়ারওয়ে বয়া’র (সাগর থেকে বন্দরের নৌপথে প্রবেশের প্রথম বয়া) কাছাকাছি যাওয়ার পরই জাহাজটির দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণহীন জাহাজটি একপর্যায়ে ডুবে চরে আটকে যায়। গত শুক্রবার জাহাজটির ১৪ জন নাবিককে উদ্ধার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
জাহাজটিতে আমদানি পণ্যবাহী ১২০ কনটেইনারের মধ্যে বিএসআরএম ও কেএসআরএম গ্রুপের ইস্পাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার মেট্রোরেলের সরঞ্জামও রয়েছে বলে জানা গেছে। বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রসাধনসামগ্রী ও বাণিজ্যিক পণ্য রয়েছে এতে। কনটেইনার মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সি লয়েড শিপিং বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র অপারেশন এক্সিকিউটিভ রানা চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়ায় প্রসাধনসামগ্রী নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে ঠিকভাবে উদ্ধার করা হলে ইস্পাত পণ্য ও সরঞ্জাম হয়তো নষ্ট হবে না। সবকিছুই নির্ভর করে জাহাজটি উদ্ধারের ওপর। এদিকে, নাবিকদের উদ্ধারের পর এখন জাহাজটি উদ্ধারের প্রক্রিয়া চালানো হবে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিক গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মাহফুজ হামিদ। তিনি প্রথম আলোকে জানান, ঘটনাস্থলে জরিপ করে জাহাজ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে।