ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নাখালপাড়ায় হোসেন আলী স্কুলে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান খান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইজিপির নেতৃত্বে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত বড় কর্মকর্তাই হোক, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি যদি এমন গর্হিত কাজ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিন সপ্তাহ কারাভোগের পর মরিয়ম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। নতুন করে তাঁকে মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে মরিয়মের পরিবার।
মিজানকে নিয়ে ‘দ্বিতীয় বিয়ে লুকাতে ডিআইজির কাণ্ড’ শিরোনামে সোমবার প্রথম আলোতে খবর প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ব্যাংক কর্মকর্তা মরিয়ম আক্তারকে গত বছরের জুলাই মাসে বিয়ে করেন মিজানুর রহমান। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সেই কথাটি গোপন রাখার শর্ত দিয়েছিলেন স্ত্রীকে। মরিয়ম রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গত ১২ ডিসেম্বর পুলিশ পাঠিয়ে মরিয়মকে গ্রেপ্তার করান। মিজানুর রহমান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।