দুর্নীতির মামলা

ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের বিচার শুরু

পার্থ গোপাল বণিক (গাড়িতে ডানে)
ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ১৮ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

অভিযোগ গঠনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান আসামি পার্থ গোপাল।

এ মামলায় গত ২৪ আগস্ট পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

পার্থ গোপাল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। অভিযোগ গঠন উপলক্ষে তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।

গত বছরের ২৮ জুলাই রাজধানীর ভূতের গলি এলাকায় পার্থ গোপালের বাসায় অভিযান চালায় দুদক। অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদকের একটি দল। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

বাসা থেকে জব্দ ৮০ লাখ টাকা নিজের বলে আদালতের কাছে দাবি করেন পার্থ গোপাল। তাঁর দাবি, বেতন-ভাতা জমিয়ে তাঁর এ টাকা হয়েছে।

দুদক সূত্র বলছে, পার্থ গোপাল কলাবাগানের যে ফ্ল্যাট থাকেন, সেটি তাঁর শাশুড়ি মঞ্জু সাহার নামে কেনা। পার্থ গোপালের দাবি, ফ্ল্যাটটি তাঁর শ্যালিকা কিনে দিয়েছেন। তবে বাড়ির মালিক দুদককে নিশ্চিত করেছেন যে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন পার্থ নিজেই।

দুদক সূত্র জানায়, পার্থ গোপালের পরিবার যে গাড়ি ব্যবহার করে, সেটি তাঁর এক বন্ধুর নামে কেনা। নিকেতনে একটি ফ্ল্যাট আছে পার্থ গোপালের মায়ের নামে। দুদকের অভিযানের সময় জব্দ টাকার মধ্যে ৩০ লাখ শাশুড়ির বলে দাবি করেছিলেন পার্থ গোপাল। ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে সেগুলো বাসায় রাখা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও এ-সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।

মামলার এজাহারে পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা অর্জন, অর্থের অবস্থান গোপন ও পাচারের উদ্দেশ্যে নিজের বাসায় লুকিয়ে রাখার অভিযোগ আনা হয়।