ফলাফল বিশ্লেষণ

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলে ব্যবধান গড়েছেন ছাত্রীরা

নুরুল হক ও গোলাম রাব্বানী
নুরুল হক ও গোলাম রাব্বানী

দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময় পর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হলের ভোট। ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের প্রার্থীদের হার নির্ধারিত হয়েছে মূলত এই ৫ ছাত্রী হলের ভোটে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন জগন্নাথ হলে। এই হলে ডাকসুর সব পদে একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন ছাত্রলীগের দেওয়া প্যানেল।

১১ মার্চ ডাকসুর ২৫টি পদে আর ১৮টি হল সংসদের প্রতিটিতে ১৩ পদে নির্বাচন হয়। ৮টি হল সংসদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পান ছাত্রলীগের প্রার্থীরা। ছাত্রীদের হলে রোকেয়া হল ছাড়া অন্য ছাত্রীহলগুলোতে ছাত্রলীগ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।

হল সংসদগুলোর ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলেও কেন্দ্রীয় সংসদের বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সংসদের বিস্তারিত ফলাফলের কপিটি একটি সূত্রে প্রথম আলোর হাতে এসেছে৷

ডাকসুর বিস্তারিত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের বাইরে থেকে নুরুল ও আখতারের জয়ে মূল ভূমিকা রেখেছে পাঁচটি হলের ছাত্রীদের ভোট৷ ভিপি পদে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হন নুরুল, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট৷ তাঁদের ভোটের পার্থক্য ১ হাজার ৯৩৩৷ ছাত্রীহলগুলো থেকে নুরুল পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট, রেজওয়ান পেয়েছেন ২০৩৮ ভোট। যা দুজনের মধ্যে ১ হাজার ৪৪৯ ভোটের বড় ব্যবধান গড়ে দিয়েছে৷ অন্যদিকে, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ৯ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আখতার হোসেন৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থী আজিজুল হক পেয়েছেন ৮ হাজার ১৮ ভোট৷ দুজনের ভোটের পার্থক্য ১ হাজার ১৭২৷ ছাত্রীদের পাঁচ হল থেকে আখতার পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২ ভোট আর আজিজ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩৪ ভোট, যা দুজনের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৮ ভোটের পার্থক্য গড়ে আখতারের জয় নিশ্চিত করেছে৷

ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে যে ২৩টি পদে ছাত্রলীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, তাঁরা সবাই ছাত্রী হলগুলোতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন বা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তাঁদের ভোটের পার্থক্য খুব বেশি নয়৷ এ ছাড়া, জগন্নাথ হলে ডাকসুর ২৫টি পদেই একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন ছাত্রলীগের প্রার্থীরা৷ এই হলে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে৷

শীর্ষ তিন পদে যে যত ভোট পেলেন

ডাকসুর শীর্ষ তিন পদ সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জিতেছেন যথাক্রমে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক, ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী ও সাদ্দাম হোসেন৷

ভিপি পদে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হন নুরুল, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট৷ তাঁদের ভোটের পার্থক্য ১ হাজার ৯৩৩৷ ছাত্রী হলগুলো থেকে নুরুল পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট, রেজওয়ান পেয়েছেন ২০৩৮ ভোট, যা দুজনের মধ্যে ১ হাজার ৪৪৯ ভোটের বড় ব্যবধান গড়ে দিয়েছে৷ তবে জগন্নাথ হলে নুরুল আর রেজওয়ানের মধ্যে ভোটের বেশ ব্যবধান রয়েছে৷ এই হলে নুরুল পেয়েছেন ১৫৮ ভোট আর রেজওয়ান পেয়েছেন ৯০৩ ভোট৷

জিএস পদে গোলাম রাব্বানীর প্রাপ্ত ভোট ১০ হাজার ৪৮৪, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী রাশেদ খাঁন পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচটি হলে গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ২ হাজার ৩৪৮ ভোট আর রাশেদ খাঁন পেয়েছেন ২ হাজার ৩৩৯ ভোট৷ জগন্নাথ হলে তাঁদের ভোটের পার্থক্যটা বেশ বড়৷ এই হলে গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৩ ভোট আর রাশেদ খাঁন পেয়েছেন ১০১ ভোট৷

ডাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন৷ তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩০১ ভোট, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৯৬ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচ হলে সাদ্দাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৭৭ ভোট আর ফারুক পেয়েছেন ২ হাজার ৩২১ ভোট৷ জগন্নাথ হলেও তাঁদের ভোটের বিশাল পার্থক্য৷ ওই হলে সাদ্দাম পেয়েছেন ১ হাজার ৪০৩ ভোট আর ফারুক পেয়েছেন ৪৪ ভোট৷

অন্য পদগুলোর বিস্তারিত ফলাফল

স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের প্রার্থী সাদ বিন কাদের চৌধুরী৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নাজমুল হুদা পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৯১ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচটি হল থেকে কাদের পেয়েছেন ২ হাজার ৪০৬ ভোট আর নাজমুল পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮১ ভোট৷ জগন্নাথ হলে কাদের ১ হাজার ৫৫ ভোট আর নাজমুল পেয়েছেন ২৫ ভোট৷ এই পদে ৩ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী শ্রবণা শফিক দীপ্তি৷ তিনি পাঁচ ছাত্রী হলে ২ হাজার ৫২ ভোট আর জগন্নাথ হলে পেয়েছেন ১৮৬ ভোট৷

কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৮ হাজার ৫২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থী লিপি আক্তার৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী কানেতা ইয়া লাম-লাম পেয়েছেন ৭ হাজার ১১৯ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচটি হল থেকে লিপি পেয়েছেন ২ হাজার ২০৩ ভোট আর কানেতা পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫৩ ভোট৷ জগন্নাথ হলে লিপি পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮ ভোট আর কানেতা পেয়েছেন ২২৬ ভোট৷ রোকেয়া হলে কানেতা ১৮৯ ভোট পেয়েছেন,এখানে লিপি পেয়েছেন ১০৭৯ ভোট৷ মূলত জগন্নাথ হল ও রোকেয়া হলের ভোটের ব্যবধানেই লিপির জয় নিশ্চিত হয়েছে৷

আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ১০ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থী শাহরিমা তানজিন অর্নি৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বেলালী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৬৭ ভোট৷ পাঁচটি ছাত্রী হল থেকে অর্নি পেয়েছেন ২ হাজার ৫৮ ভোট,বেলালী পেয়েছেন ১ হাজার ২১ ভোট৷ জগন্নাথ হলে অর্নি পেয়েছেন ১ হাজার ২৩১ ভোট আর বেলালী পেয়েছেন ২৪ ভোট৷

সাহিত্য সম্পাদক পদে ১০ হাজার ৭০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের প্রার্থী মাজহারুল কবির শয়ন৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী মুহাম্মদ আকরাম হুসাইন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮ ভোট৷ পাঁচটি ছাত্রী হল থেকে শয়ন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৩২ ভোট আর আকরাম পেয়েছেন ২ হাজার ৭ ভোট৷ জগন্নাথ হলে শয়ন পেয়েছেন ১ হাজার ১৫ ভোট আর আকরাম পেয়েছেন ২৭ ভোট৷

ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের প্রার্থী শাকিল আহমেদ তানভীর৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ মাহমুদ আকাশ পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচ হলে শাকিল পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫৮ ভোট আর খালেদ পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ ভোট৷ জগন্নাথ হলে শাকিল পেয়েছেন ৭৯২ ভোট আর খালেদ পেয়েছেন ৬৯ ভোট৷

সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১০ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের প্রার্থী আসিফ তালুকদার৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৪ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচটি হল থেকে আসিফ পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪৬ ভোট আর নাহিদ পেয়েছেন ১ হাজার ৫৬৩ ভোট৷ জগন্নাথ হলে আসিফ পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪ ভোট আর নাহিদ পেয়েছেন ১৯ ভোট৷

ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ হাজার ১৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থী শামস-ঈ-নোমান৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী রাজিবুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১২ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচ হলে নোমান পেয়েছেন ২ হাজার ২৬৭ ভোট আর রাজিবুল পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭৬ ভোট৷ জগন্নাথ হলে নোমান পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৩ ভোট আর রাজিবুল পেয়েছেন ৪১ ভোট৷

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ হাজার ১৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থী আরিফ ইবনে আলী৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী মশিউর রহমান পেয়েছেন ৬ হাজার ৩২৩ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচটি হল থেকে আরিফ পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৫ ভোট আর মশিউর পেয়েছেন ২ হাজার ২০৯ ভোট৷ জগন্নাথ হলে আরিফ পেয়েছেন ৭৯৫ ভোট আর মশিউর পেয়েছেন ৪৯ ভোট৷ এই পদে ৪ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী চয়ন বডুয়া৷

সমাজসেবা সম্পাদক পদে ৯ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী আখতার হোসেন৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থী আজিজুল হক পেয়েছেন ৮ হাজার ১৮ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচ হল থেকে আখতার পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২ ভোট আর আজিজ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩৪ ভোট৷ জগন্নাথ হলে আখতার পেয়েছেন ১৬৪ ভোট আর আজিজ পেয়েছেন ৮৬১ ভোট৷

ডাকসুর ১৩টি সদস্যপদেই জয় পেয়েছেন ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থীরা৷ পাঁচ ছাত্রী হল ও জগন্নাথ হলে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে এই ১৩ জনের ভোটের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান দেখা গেছে৷

অন্যান্য:

বামপন্থী ৯টি ছাত্রসংগঠনের যৌথ প্যানেল প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী পেয়েছেন ১ হাজার ২১৬ ভোট,যার মধ্যে ৫২১ ভোট পেয়েছেন জগন্নাথ হলে৷ ছাত্রীদের পাঁচ হল থেকে তিনি পেয়েছেন ৩২৬ ভোট৷ এই জোট থেকে জিএস প্রার্থী ফয়সাল মাহমুদের প্রাপ্ত ভোট ২৪৭৷ ছাত্রীদের পাঁচ হল থেকে ৯২ ভোট আর জগন্নাথ হলে ৭১ ভোট পেয়েছেন ফয়সাল৷

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোট ২৪৬ ভোট পেয়েছেন৷ ছাত্রীদের ৫টি হল থেকে তিনি ৫৫ ভোট পেয়েছেন৷ তবে জগন্নাথ হলে একটি ভোটও পাননি মোস্তাফিজ৷ ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার মোট ৪৬২ ভোট পেয়েছেন৷ ছাত্রীদের পাঁচ হল থেকে অানিস ১১৮ ভোট পেয়েছেন আর জগন্নাথ হলে তিনি পেয়েছেন ৩ ভোট৷

স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান ২৬৭৬ ভোট পেয়েছেন৷ ছাত্রীদের পাঁচ হল থেকে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৫০৮৷ জগন্নাথ হলে তিনি পেয়েছেন ১২৮ ভোট৷ এই জোটের জিএস প্রার্থী শাফী আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ১ হাজার ৫১২ ভোট৷ ছাত্রীদের পাঁচ হল থেকে তিনি পেয়েছেন ৭৯৪ ভোট আর জগন্নাথ হলে পেয়েছেন ৬০ ভোট৷

এ ছাড়া,স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের জিএস প্রার্থী আসিফুর রহমান ৪ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়েছেন৷ ছাত্রীদের পাঁচটি হল থেকে আসিফ পেয়েছেন ১ হাজার ৩১৪ ভোট আর জগন্নাথ হলে পেয়েছেন ২০০ ভোট৷

শীর্ষ তিন পদের হলভিত্তিক ফলাফল

ভিপি পদে নুরুল হক ও রেজওয়ানুল হকের প্রাপ্ত হলভিত্তিক ভোটের অনুপাত:

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসা মুজিব হলে ৬৪১:৩০২, অমর একুশে হলে ৩৯০:৩২৫, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৬৪১:৫১২, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৫০২:১৬৬, সুফিয়া কামাল হলে ৯৭৩:৭৬৫, ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ হলে ৪০৬:৫৭৭, জগন্নাথ হলে ১৫৮:৯০৩, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৬৭৯:৭৭৩, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৫৬৭:৫১৪, শামসুন নাহার হলে ৭৪১:৩৯০, রোকেয়া হলে ৬৩০:৪১৫, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৬১১:৩৪৪, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫১৭:৫২৭, বিজয় একাত্তর হলে ১৩২৪:৬৬৪, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৫৪৪:৪৪৪, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ৬৮৬:৫২৭, স্যার এএফ রহমান হলে ৫৪৪:৫১৮ ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৫০৮:৪৬৩৷

জিএস পদে গোলাম রাব্বানী ও রাশেদ খাঁনের প্রাপ্ত হলভিত্তিক ভোটের অনুপাত:

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসা মুজিব হলে ৩৫২:৪৩২, অমর একুশে হলে ৩২৩:১৯৮, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৫৮২:৪০৮, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ২১৭:৩২৫, সুফিয়া কামাল হলে ৮৭২:৬০৮, ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ হলে ৬৬৩:১৯৮, জগন্নাথ হলে ১১৮৩:১০১, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৮২৮:২৬২, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৫৮৭:২৮০, শামসুন নাহার হলে ৪৪৭:৫৩৫, রোকেয়া হলে ৪৬০:৪৩৯, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৩৯১:৩৩৬, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৬৬১:২১০, বিজয় একাত্তর হলে ৮০৪:৫৮৬, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৪৮৩:২৬৩, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ৫৭৫:৩৪৫, স্যার এএফ রহমান হলে ৫৬১:২৯৪ ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৪৯৫:২৪৩৷

এজিএস পদে সাদ্দাম হোসেন ও ফারুক হোসেনের প্রাপ্ত হলভিত্তিক ভোটের অনুপাত:

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসা মুজিব হলে ৫৫৬:৪০১, অমর একুশে হলে ৫৮৩:১৮১, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৯২৮:৩০৬, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৩৪৮:৩৪০, সুফিয়া কামাল হলে ১২২০:৬৩৭, ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ হলে ৮৬৩:১৭৪, জগন্নাথ হলে ১৪০৩:৪৪, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ১১৯২:২৮৫, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৮২৮:২৯৯, শামসুন নাহার হলে ৭৫০:৫২৩, রোকেয়া হলে ৭০৩:৪২০, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৬০০:৩১৪, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৮২৯:২২৫, বিজয় একাত্তর হলে ১৩৩৭:৬৬০, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৩১:২৬৭, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ৮৬১ ও ৩৪২, স্যার এএফ রহমান হলে ৮৭১:২১৬ ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৬৯৮:২৬২৷