তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছাত্রদল কত ভোট পেয়েছে সেটি বলতেও তারা লজ্জা পাচ্ছে।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের এম এ আজিম স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ডাকসু নির্বাচনে বাম-ডান দল সবাই মিলে চেষ্টা করেছিল ছাত্রলীগকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাম-ডান দল সবাই একত্রিত হয়েও ছাত্রলীগের বিজয় ঠেকাতে পারেনি। তিনি বলেন, ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। এটি বেশ ইতিবাচক দিক। সেখানে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েছে, সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। সে জন্য তারা তদন্ত কমিটি করেছে। নির্বাচনের দিনই তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যারা অভিযোগ করছে, তারা নিজেরাই নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। দুই-একটি হলে কারচুপি হয়েছে বলে তারা অভিযোগ তুলেছে। দেখা যাচ্ছে, সে সমস্ত হলে যারা অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের শীর্ষ নেতারা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তারাই জয়লাভ করেছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, সার্বিকভাবে সামান্য কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি বাদে ভালো নির্বাচন হয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমি অনুরোধ রাখব ছাত্রদের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাঁরা তাঁদের কার্যক্রম শুরু করবেন।
রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। তিনি রাজবন্দী নন। তিনি দুর্নীতির দায়ে কারাগারে আছেন। তাঁকে মুক্ত করার একমাত্র পথ হচ্ছে আদালত এবং আইন। আইন ও আদালতের মাধ্যমে তাঁর মুক্তি মিলতে পারে, অন্য কোনোভাবে তাঁকে মুক্ত করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে সেই সুযোগ দেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, জীবন বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা আফরোজ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান প্রমুখ।