সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় স্বাস্থ্য খাতের বিতর্কিত ঠিকাদার মোতাজজেরুল ইসলাম ওরফে মিঠুর বিরুদ্ধে চার বছর আগে একটি মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় তদন্ত শেষে তাঁকে অব্যাহতির প্রার্থনা জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় দুদক, যা মহানগর বিশেষ জজ গ্রহণ করে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে ও মামলার অভিযোগ পুনরায় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর ১০ ডিসেম্বর শুনানির দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুনানির এ দিন ধার্য করেন। গত অক্টোবরে রিটটি করেন ঢাকার বনশ্রীর বাসিন্দা মো. মনিরুজ্জামান, যা আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বলেন, অজ্ঞতাবশত মিঠু নির্ধারিত সময়ের পর সম্পদের হিসাব বিবরণী দেন এবং তিনি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত একজন করদাতা উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তা ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। আইন অনুসারে অজ্ঞতা কোনো ব্যক্তিকে তাঁর অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে না। স্বাস্থ্যসেবার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম। স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মে মিঠু সিন্ডিকেট জড়িত বলে গণমাধ্যম ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এসেছে—এসব যুক্তিতে ওই রিট করা হয়।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১০ মে মিঠুর বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে মিঠুকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রার্থনা জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদেশ দেন। এর ভাষ্য, তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামি মোতাজজেরুল ইসলামকে মামলার অভিযোগের দায় হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো। মামলাটি নিষ্পত্তি করা হলো। এই আদেশ বাতিল চেয়ে ওই রিট করা হয়।