ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ রেলস্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন তূর্ণা নিশীথা এবং সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী ১৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনের লাশ বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্রে আছে। তাদের মধ্যে তিনটি শিশু, তিনজন নারী ও চারজন পুরুষ। এই ১০ জনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (২৮) এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী কুলসুম বেগম।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজনের লাশ আছে। তাদের মধ্যে একজন নারী। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বাকি যে দুজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে তাঁরা হলেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার এলাকার সোহেল মিয়ার দুই বছর বয়সী মেয়ে আদিবা আক্তার এবং একই এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে আলী মো. ইউসুফ।