কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে মাহেন্দ্র-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে জেসমিন আক্তারের (২৮) ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একই ঘটনায় তাঁর মেয়ে তাসপিয়া আক্তারও (৬) গুরুতর আহত হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অপর তিনজনের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। পা বিচ্ছিন্ন হওয়া জেসমিন আক্তারের বাড়ি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়ার মেয়ে এবং মৃত আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী।
শুক্রবার বেলা একটার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার পাঠানো হয়। এদের মধ্যে জেসমিন আক্তারকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাহারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাশ প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গাড়ি দুটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জেসমিন আক্তারের ডান পা হাঁটুর সামান্য ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জেসমিনের বড় ভাই সৈয়দ আমিন বলেন, বেলা একটার দিকে অটোরিকশায় করে শাহপরীর দ্বীপ থেকে বাহারছড়ার শামলাপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন জেসমিন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী মাহেন্দ্রর সঙ্গে শামলাপুর রাস্তার মাথায় অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গাড়ির চালকসহ পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে জেসমিন আক্তারের ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তাঁর মেয়ে তাসপিয়া আক্তারের ডান হাত ভেঙে গেছে, গলা ও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে।’
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মা ও মেয়ের অবস্থা গুরুতর। এর মধ্যে মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জরুরি চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।’
সম্প্রতি রাজধানীর সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর শিকার হয়ে হাত হারানোর কয়েক দিন পর মারা যান কলেজছাত্র রাজীব। এরপর বাসচাপায় পা হারিয়ে চিরবিদায় নেন রোজিনা। ৪ মে নওগাঁয় মোটরসাইকেল-ভটভটি সংঘর্ষের পর পা হারিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রাণ হারান কিশোর নিলয়।