উত্তর দাও, অটোগ্রাফ নাও
অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে বারবার দেখা গেছে ‘অটোগ্রাফ’ এবং ‘ফটোগ্রাফ’শিকারিদের জটলা। কেউ ছুটছিল ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়ের পেছনে, কেউ চায় কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের একটা সই। শিল্পী মিনারের সঙ্গে সেলফি তুলতে মঞ্চের পেছনেও হাজির হয়ে গিয়েছিল দু-একজন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে দেখা গেল লেখক আনিসুল হককে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভিড়। যে-ই কাছে আসছিল, আনিসুল হক জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘নাম কী?’ সঙ্গে সম্পূরক প্রশ্ন, ‘নামের অর্থ কী?’ নিজেদের মতো করে নামের অর্থ বর্ণনা করছিল শিক্ষার্থীরা। এমন সময় অটোগ্রাফ নিতে হাজির হলো নীলাদ্রি। আনিসুল হক প্রশ্ন করার আগেই সে হড়বড় করে বলে ফেলল, ‘নীল যোগ অদ্রি হলো নীলাদ্রি। অদ্রি মানে পাহাড়। নীলাদ্রি মানে নীল পাহাড়।’ বোঝা গেল, ভাষা প্রতিযোগের ‘পরীক্ষা পরীক্ষা খেলা’র রেশ তখনো কাটেনি!
ঢাকায় প্রথম!
‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে...’ ভাষা প্রতিযোগের মঞ্চে এই গান কেউ গায়নি। তবে দিনাজপুর থেকে আসা রিসাতুল জান্নাতকে উৎসর্গ করে গানটা গাওয়াই যেত। জাতীয় উৎসবে অংশ নেওয়ার সুবাদে এই প্রথম ঢাকায় এসেছে সে। আগে আসা হয়নি কেন? দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এই ছাত্রী ছোট্ট করে উত্তর দিল, ‘সুযোগ হয়নি’। তা প্রথম ঢাকায় এসে কেমন লাগছে? জান্নাত বলল, ‘ভালো। তবে এখানে অনেক মানুষ।’ সেদিন ছিল শুক্রবার। ছুটির দিনে ঢাকায় এসে যদি মনে হয় ‘এখানে অনেক মানুষ’, একটা কর্মব্যস্ত দিনে ফার্মগেট এলাকায় পা রাখলে রিসাতুল জান্নাত কী বলত, কে জানে!