টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাকচালকের সহকারী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাকচালকের নাম মো. আক্তার হোসেন (৪০)। তিনি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার শহরতলা গ্রামের মৃত আশরাফ হোসেনের ছেলে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জানীগাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বেলা দেড়টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছিল।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে গমবোঝাই একটি ট্রাক বগুড়া যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের ঘারিন্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পানিতে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকটির চালক আক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তাঁর সহকারী মো. আসাদুল (৫০)। তাঁকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জে উল্টে যাওয়া বাসে থাকা এক যাত্রীর বরাত দিয়ে সদর উপজেলার লক্ষ্মণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল ওদুদ জানান, তাঁর বাড়ির কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। বাস থেকে বের হয়ে আসা এক যাত্রী তাঁকে জানান, বাসটি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের পথে রওনা হয়। বাসে ১৮ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে সাতজন বের হতে পেরেছেন। প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনার পরে থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান।
বেলা দেড়টায় সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুই ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে বাসের ভেতরে-বাইরে কাউকে পাইনি। আমাদের ধারণা, বাসে যাঁরা ছিলেন, সবাই বের হয়েছেন। আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে।’
জেলা প্রশাসক আবদুল আহাদ বলেছেন, সাতজন যাত্রী, যাঁরা ঘটনার পরপরই বাস থেকে বের হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনজন চিকিৎসাধীন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।