প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শ নিয়ে সৎভাবে জীবনযাপন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘টাকা বানানো একটা রোগ, অসুস্থতা। এ রোগে একবার আক্রান্ত হলে শুধু বানাতেই ইচ্ছে করে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এই সম্মেলনে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
আজকের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত। অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
ভাষণে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সব সময় মনে রাখতে হবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সৃষ্টি অবৈধভাবে। এরা ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় থেকে উচ্ছিষ্ট ভোগ করার জন্য দল করেছিল। ওরা খাওয়া পার্টি। তাদের চরিত্র আলাদা। ওই সব দল মাটি থেকে গড়ে ওঠেনি, মানুষের কথা তাদের বিবেচনায় ছিল না কখনই।
শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থান জানিয়ে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের অর্থ ভোগ-বিলাসে ব্যয় হবে না। জনগণের অর্থ জনগণের জন্য ব্যয় হবে। কেউ বিলাসবহুল জীবনযাপন করবে, ভোগ-বিলাস করবে আর সৎ মানুষ সরল জীবনযাপন করে কষ্ট পাবে—তা হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধ অর্থ দিয়ে চললে ছেলেমেয়ে বিপথে যাবে। সৎ পথে যে থাকে, সে সমাজে সম্মান পায়। অসৎ মানুষকে তার অনুপস্থিতিতে মানুষ গালি দেয়।
বঙ্গবন্ধুর সরল-সাধারণ জীবনযাপনের কথা উল্লেখ করে তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভাগ্য ও জীবনমান উন্নত করাই বঙ্গবন্ধুর জীবনের আদর্শ ছিল। জনগণকে কী দিতে পারলাম, সেটাই চিন্তা করতে হবে আগে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে সাজাপ্রাপ্ত। ওরা এতিমের টাকাও চুরি করে নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত আমলে ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা হয়েছে। বাংলাদেশকে ওরা সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের দেশ ও দুর্নীতির দেশে পরিণত করেছিল।