ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ইয়ামিন আক্তার। কিন্তু টাকার অভাবে শেষ পর্যন্ত কোথাও ভর্তি হতে পারবেন কি না, ভর্তি হলেও পড়াশোনার খরচ কীভাবে জোগাবেন, সেই দুশ্চিন্তা তাঁকে তাড়া করছে।
ইয়ামিন আক্তারের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালা গ্রামে। তাঁর বাবা বাহার ভূঁইয়া বেঁচে নেই। মা মারুফা বেগম গৃহিণী। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে ইয়ামিন পঞ্চম। দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট দ্বীন ইসলাম স্থানীয় চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বোন ইয়াজ আক্তার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজে স্নাতক (পাস) তৃতীয় বর্ষে পড়েন। বড় ভাই মো. আলামিন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি কাঁচামালের ব্যবসা করেন। তাঁর আয়ে কোনোমতে চলে পাঁচজনের সংসার।
>ইয়ামিন আক্তার। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ তিনটি বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
ইয়ামিন বলেন, ‘অভাব আমার পরিবারের নিত্যসঙ্গী। পড়াশোনার খরচ চালানো পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না; এখনো সম্ভব নয়। ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে অল্প কিছু টাকা পেতাম। তা দিয়ে পড়েছি এবং পরিবারকে সাহায্য করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। উচ্চশিক্ষা লাভ করতে চাই। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারব কি না, এই দুশ্চিন্তায় আমরা অস্থির। সামনে কী হবে কিছুই জানি না।’
ইয়ামিন ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটে ৮৫৯তম স্থান পেয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে হয়েছেন ১৪৬তম। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ৩৯৯তম স্থান অর্জন করেছেন।