ঝিনাইদহে নতুন ৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই স্বাস্থ্য বিভাগের। জেলায় করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা এখন ২১। এর মধ্যে চার চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য বিভাগেরই ১৩ জন। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন কার্যালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আক্রান্ত নতুন ৮ জনের মধ্যে রয়েছেনে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, শৈলকুপা স্বাস্থ কমপ্লেক্সর একজন চিকিৎসকসহ ৪ জন, কালীগঞ্জের ২ জন এবং কোটচাঁদপুর স্বাস্থ কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মুখপাত্র ও করোনা ইউনিটের চিকিৎসক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালরের পরীক্ষাগার থেকে মঙ্গলবার ২৩টি নমুনার পরীক্ষার প্রতিবেদন ঝিনাইদহে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনের প্রতিবেদন করোনা 'পজেটিভ' এসেছে। জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ৪ দিন আগেও জেলায় নিশ্চিত আক্রান্ত কেউ ছিল। এই চারদিনেই আক্রান্তের সংখ্যাটা ২১ জনে পৌঁছেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার ঝিনাইদহে বেশি। এ কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শৈলকুপা ও কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য বিভাগের সেবা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাধারণত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ সমস্যা বাড়াচ্ছেন। তাঁরা তথ্য গোপন করে নানা রোগের চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে যাচ্ছেন। এতে করে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, বর্তমান অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক হওয়া ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।