ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলার পিপি (সরকারি কৌশলী) হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানি শেষে এই রায় দেওয়া হয়।
বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দীনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ রায় দেন।
গতকাল রোববার বিকেলে ওই রায় দেওয়া হয় বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা পাঁচ আসামি নিষিদ্ধ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
তাঁরা হলেন মুরাদ হোসেন, আবু শাহাদাত মো. তানভীর ওরফে মেহেদি, আমিনুল ওরফে আমির হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন ও সমীর হোসেন ভূঁইয়া। পাঁচ আসামির মধ্য বিল্লাল হোসেন পলাতক।
২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল ঝালকাঠির গোরস্থান মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন হায়দার হোসেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পরদিন ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. তারেক ইবনে হায়দার। এ মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রায় দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্দুল হালিম। রায়ের ওই পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টে রায়ের পরই ওই বছরই আসামিদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্ট আসে। এ ছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিন আসামি আপিল ও এক আসামি জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মঞ্জুর করে আসামিদের আপিল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।
আদালতের আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, এস এম মাহাবুবুল ইসলাম ও মো. কামাল। পলাতকসহ দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. আসাদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস, সৈয়দা শবনম মুশতারী ও তরিকুল ইসলাম।
বশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্ট ওই পাঁচ জেএমবি সদস্যর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।