করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসিন্দা এক প্রকৌশলীর (৩২) লাশ ভোরে দাফন করা হয়েছে। লাশ দাফন ও বহনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রংপুর থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত ২০১৭ সালে চাকরিতে যোগ দেন।
আজ ভোরে গ্রামের বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রকৌশলীর লাশ গ্রামে পৌঁছায়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তবে জানাজায় ইমামসহ সাতজন অংশ নেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই প্রকৌশলী জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে গতকাল বুধবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন এমন আশঙ্কায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে চিকিৎসার জন্য আইসোলেশনে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার সময় রাত নয়টার দিকে তিনি মারা যান। এরপর গ্রামে এনে লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ওই প্রকৌশলীর স্ত্রী-সন্তান ও লাশ বহন এবং দাফনের সঙ্গে জড়িতদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
ওই প্রকৌশলীর চিকিৎসার প্রতিবেদন (রিপোর্ট) পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি ডেঙ্গুজ্বর, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রকৌশলীর নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয়েছে এ জন্য তাঁরা সংগ্রহ করেননি। তবে তিনি করোনাভাইরাসে মারা যাননি চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে এমন মনে হয়েছে। এর পরেও প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত স্ত্রী-সন্তান ও লাশ বহন এবং দাফনের সঙ্গে জড়িতদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।