নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালীতে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী (৩৫) মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এ ঘটনায় তাঁর বাড়িসহ পুরো গ্রাম আপাতত লকডাউন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ লকডাউন করে দেওয়ায় গতকাল বুধবার রাতে ওই নারী নরসিংদীতে ফেরেন। কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন। গতকাল রাতে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
জেলা করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের কর্মকর্তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণার পর সেখানকার শিল্পকারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে গতকাল রাতে ওই নারী নরসিংদীতে ফেরেন। ওই রাতেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর আগে তিনি জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন। আজ সকালে শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে গেলে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মারা যাওয়া ওই নারীর স্বজনেরা বলছেন, আজ বিকেল পর্যন্ত তাঁর লাশ নৌকায় রাখা ছিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এমন সন্দেহে তাঁর লাশ দাফন করতে দিচ্ছেন না গ্রামবাসী। এমনকি তাঁর স্বজনদেরও লাশের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
সিভিল সার্জন মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হতে আজ দুপুরে আমাদের একটি দল সেখানে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে এনেছে। ওই নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না।’