আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়কার যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঢাকার বিশেষ জজ-২ আদালতের বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান আজ রোববার নাজমুল হুদার জামিন আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।
২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এই মামলায় নাজমুল হুদাকে সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। ২০১৭ সালে তাঁর সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল প্রথম আলোকে বলেন, আজ আদালত নাজমুল হুদার জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাজমুল হুদা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেন। তবে এই জোট থেকে তিনি মনোনয়ন পাননি। পরে ঢাকা-১৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি।
পেশাদার আইনজীবী থেকে নাজমুল হুদার রাজনীতিতে পদার্পণ ১৯৭৭ সালে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গঠিত জাগদলের মাধ্যমে। জাগদলের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় বিএনপি। নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। পর্যায়ক্রমে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিভিন্ন মেয়াদে খাদ্য, তথ্য এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১০ সাল থেকে বিএনপির সঙ্গে নাজমুল হুদার টানাপোড়েন শুরু হয়। দল তাঁকে বহিষ্কার করে। সেই বহিষ্কারের আদেশের পরও বিএনপির পরিচয়েই রাজনীতিতে থাকার চেষ্টা করেন। তবে বেশি দিন নয়। ২০১২ সালের জুনে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। নাজমুল হুদার সর্বশেষ গঠিত দল ‘তৃণমূল বিএনপি’