জেলা কমিটির নেতাকে গালাগালির অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাত বছর পর গত শনিবার উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনের সময় ভোটাভুটি নিয়ে সাবেক সাংসদের সমর্থকেরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমকে গালাগাল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও তারিকুল ইসলাম যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর কমিটিতে হযরত আলী মিঞা সভাপতি ও মো. জুলহাস মিয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গত কমিটিতেও তাঁরা চারজন একই পদে ছিলেন।

গতকালের সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান। এ ছাড়া আরেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাঈদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, প্রথম পর্বের আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় আবুল কালাম আজাদের বাসায় নেতারা উপজেলা কমিটি গঠনের জন্য আলোচনায় বসেন। এতে একক প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদে তারিকুল ইসলাম, ফিরোজ হায়দার খান ও আবদুর রউফ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একজনকে নির্বাচনের জন্য আবুল কালাম আজাদ কণ্ঠভোটের প্রস্তাব করেন। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল গোপন ভোট করার প্রস্তাব দেন। পরে ভোটাভুটিতে তারিকুল ইসলাম জয়ী হন।

এরপর আগের কমিটির দুই সহসভাপতি মৃধা নজরুল ইসলাম ও আবদুল কাদের সিকদার নতুন কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদ চান। এ সময় সাবেক সাংসদ আজাদ শামসুলকে একজনকে বাছাই করতে বলেন। কিন্তু শামসুল নতুন কমিটিকে এ দায়িত্ব দেওয়ার কথা বললে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আজাদের সমর্থকেরা শামসুলকে গালিগালাজ করেন। এতে ক্ষুব্ধ শামসুল সেখান থেকে বেরিয়ে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যান। পরে আজাদও সেখানে যান। সেখানেই রাত পৌনে নয়টার দিকে পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মুঠোফোনে শামসুল বলেন, প্রার্থীরা গোপন ব্যালটে ভোট চেয়েছেন। কিন্তু সাবেক সাংসদ আগ্রহী ছিলেন না। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পরে তিনি বলেছেন, কারও ঘরে সম্মেলন হবে না। তিনি দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন। সেখানেই পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে।

সাবেক সাংসদ আজাদ বলেন, শামসুলকে তাঁর সমর্থকেরা গালিগালাজ করেননি। তাঁদের দুজনের মধ্যেই তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। পরে এর সমাধানও হয়েছে। এ ছাড়া সম্মেলনস্থলে গোপন জায়গা না থাকায় শুধু ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াটি তাঁর বাসার কক্ষে হয়েছে।

পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা বলেন, ‘জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনাটি শুনেছি। এ ধরনের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। দলীয় কোনো বিষয় থাকলে তা পার্টি অফিসে হওয়া দরকার। কারও ড্রয়িং রুমে হওয়া উচিত নয়।’