অনুমোদনহীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও চড়া সুদে ঋণের কারবারে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে মানুষ যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন, সে জন্য জেলা ও উপজেলায় অভিযোগ বাক্স স্থাপনে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সমবায় সমিতি ও মাইক্রোফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশনের কার্যক্রম তদন্ত করতে, তদন্তের সময় লাইসেন্স না থাকলে সেগুলো তাৎক্ষণিক বন্ধ ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসব কার্যক্রমের তদন্তে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে ৪৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় ঋণদাতাদের তালিকা আদালতে দাখিল করতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক নিজেই শুনানি করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই রিটটি করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী মুনীরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও চড়া সুদে ব্যক্তির ঋণের কারবার বন্ধে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পৃথক ১৯টি টিম গঠন করেছে। তাদের কার্যক্রম চলমান। কমিটির কাছে ইতিমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে, যেগুলোর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। হাইকোর্ট অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও চড়া সুদে ঋণ কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা বিষয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন।