সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সিদ্ধান্ত ‘আইনবহির্ভূত’ বলে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস।
সমিতির মিলনায়তনে সমিতির ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কুদ্দুস এ নিন্দা জানান।
৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তটি খুবই উদ্বেগের এবং দুঃখজনক। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের যুদ্ধ পরিকল্পনা, যুদ্ধকৌশল, যুদ্ধ পরিচালনা ও তার বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং নিজের জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেয়প্রতিপন্ন করা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমের চেতনা পরিপন্থী এবং জাতির জন্য কলঙ্কস্বরূপ। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনবহির্ভূতভাবে এ অবৈধ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাতিল করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সহসভাপতি মো. আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ রাগীব রউফ চৌধুরী, সদস্য মার-ই-য়াম খন্দকার, মোহাম্মদ মোহাদ্দেস-উল-ইসলাম, মহসিন কবির ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে সমিতির ১৪টি পদের মধ্যে সম্পাদক, সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষসহ কার্যনির্বাহী কমিটির আটটি পদের নেতৃত্বে আছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।