জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সশরীর ক্লাস ও পরীক্ষা কাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি কাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হল খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগের পরীক্ষা ইতিমধ্যে অনলাইনে শুরু হয়েছে, সেসব পরীক্ষা সশরীর উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাওয়ার পর ইতিমধ্যে শুরু হওয়া পরীক্ষাগুলো দুর্যোগকালীন পরীক্ষা অধ্যাদেশ ২০২১ (এক্সামিনেশন অর্ডিন্যান্স ডিউরিং ডিজাস্টার-২০২১) এর কাঠামোতেই অনলাইন মাধ্যমের পরিবর্তে সশরীর উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
দুর্যোগকালীন পরীক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই পরীক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী ১০ নম্বরের অ্যাসাইনমেন্ট, ১০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ৩০ নম্বরের কাঠামোগত মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর এসব পরীক্ষা অনলাইনের পরিবর্তে সশরীর নিতে হবে।’
তবে ১০ নম্বরের অ্যাসাইনমেন্ট অনলাইনে সফট কপি বা অফলাইনে হার্ড কপিতে জমা দেওয়া যাবে বলে রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এ ছাড়া ১০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কোনো শ্রেণিকক্ষ বা গ্যালারি বা একাধিক শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।
অজিত কুমার মজুমদার বলেন, এত দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার্থীরা নিজ বাসা বা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। এখন যেহেতু আবাসিক হলগুলো খোলা, তাই পরীক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই ক্যাম্পাসে থাকার কথা। এ অবস্থায় মৌখিক পরীক্ষাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীর নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে একই কক্ষে পরীক্ষক ও পরীক্ষার্থী সামাজিক দূরত্ব মেনে মৌখিক পরীক্ষা দিতে পারবেন বা পরীক্ষকেরা এক কক্ষে, পরীক্ষার্থীরা অন্য কক্ষে বসে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা বিভাগের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় (কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ) অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত হবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যেসব বিভাগ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য পরীক্ষকদের অনুরোধ করার কথা জানাবে, সেসব পরীক্ষা দুর্যোগকালীন পরীক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রশ্নকর্তাদের প্রশ্ন পাঠানোর অনুরোধ করার দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা শুরু করতে হবে।
এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের পর যেসব পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে, সেসব পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আগের নিয়মেই অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।