ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার অপর দুই আসামি জামিন পেয়েছেন। তাঁরা হলেন কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার।
আদালত সূত্র বলছে, আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরদিন শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। গত ৯ ডিসেম্বর আদালত থেকে জামিন পান হাসনা হেনা।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে উপাধ্যক্ষ তাঁদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
শান্তিনগরের বাসা থেকে অরিত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসকেরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন
অরিত্রীর ‘হত্যাকারী’ কে?
ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীনসহ তিন শিক্ষক বরখাস্ত
বলো, অরিত্রীর কী ‘অপরাধ’ ছিল?
অরিত্রীর আত্মহনন: শিক্ষকেরাই দোষী?
স্কুলে অরিত্রী ও তাঁর বাবা-মার সঙ্গে যা হয়েছিল