যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের সঙ্গে কোনো ধরনের আঁতাত জাতি মেনে নেবে না। অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং গণজাগরণ মঞ্চের ৬ দফা: আমরা কোথায়?’ শীর্ষক ‘রাজপথ সংলাপে’ গতকাল বুধবার বক্তারা এসব কথা বলেন।
শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল তরুণদের মনোবল চাঙা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের তরুণেরা যেভাবে আন্দোলন করে রাষ্ট্রীয় আইন সংশোধন করতে সরকারকে বাধ্য করেছে পৃথিবীর ইতিহাসে এমনটি আর নেই। অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করতে হয় না, করতে হয় মনোবল দিয়ে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। শিগগিরই জামায়াত নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সংবাদটি আনন্দের হলেও সামনের পথ খুবই কঠিন ও দুর্যোগপূর্ণ। তিনি তরুণদের রাজপথ না ছাড়ার পরামর্শ দেন।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, জামায়াত সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে মিশে যাওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীতে’ টাকা না দিতে পেরে ইবনে সিনার খাবার স্যালাইন দিয়ে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।
মূল প্রবন্ধে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, জামায়াতসহ এর সব অঙ্গসংগঠনগুলোকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ক্রমাগত অপপ্রচার বন্ধে সরকারিভাবে গণসংযোগ বিভাগ চালু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি রাজনৈতিক দল যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্নে অবস্থান স্পষ্ট না করে ইতিমধ্যেই জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্প্লাদক লাকী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপ শেষে একটি পতাকা মিছিল শিখা চিরন্তনে শ্রদ্ধা জানিয়ে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়। সন্ধ্যায় শাহবাগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কনসার্টের আয়োজন করা হয়।