জামালপুরে সহজে ও দ্রুত করোনা শনাক্তের জন্য আরটি পিসিআর ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করা হয়েছে । আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সাংসদ ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান ফিতা কেটে এ ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন।
আরটি পিসিআর ল্যাবরেটরি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সাংসদ মির্জা আজম। অনুষ্ঠানে জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সাংসদ মো. মোজাফ্ফর হোসেন, জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের সাংসদ ফরিদুল হক খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম সালেহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক মো. মোশায়ের উল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ মির্জা আজম ল্যাবের ভেতরে কক্ষগুলো ঘুরে দেখেন। তাঁরা এ সময় সেখানে নিয়োজিত চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সঙ্গে করোনা নমুনা পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচতলায় ল্যাবের যাত্রা শুরু হলো। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মুসার তত্ত্বাবধানে সেখানে কারোনাভাইরাস শনাক্তের কাজ চলবে। তবে নমুনা পরীক্ষা শুরু করতে আরও দুই দিন লাগবে।
জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আরটি পিসিআর ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের একটি নবনির্মিত ভবনের নিচতলা প্রস্তুত করা হয়। সব যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে মাত্র ১০ দিন সময় লাগে। গত সোমবার সব প্রস্তুতি শেষ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তাই একসঙ্গে অনেক মানুষের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে জেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর-৩ আসনের সাংসদ মির্জা আজম ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসানের চেষ্টায় এই ল্যাব স্থাপিত হয়।
এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মুসা প্রথম আলোকে বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যেই করোনার নমুনা পরীক্ষা জামালপুরেই করা যাবে। সব কাজ শেষ। এই ল্যাবে প্রতি ছয় ঘণ্টায় ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। ল্যাবে ৬ জন চিকিৎসক ও ৬ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কাজ করবেন। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে অনেকেই কাজ করবেন। এগুলোর ফলাফল জেলার সিভিল সার্জন ও সরকারের আইইডিসিআরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।