করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নিউমোনিয়া ধীরে ধীরে সেরে উঠছে। অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রাও কমে আসছে।
আজ বৃহস্পতিবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মামুন মোস্তাফীর বরাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ প্রথম আলোকে জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মারাত্মক নিউমোনিয়ার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে এবং অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ কমে আসছে। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস, পরিমিত অ্যান্টিবায়োটিক ও বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হচ্ছে।
৪ জুন রাতে ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং শনিবার থেকে ধীরে ধীরে তাঁর উন্নতি হতে থাকে। ইতিমধ্যেই তাঁর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী ও অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।