শনাক্ত হওয়ার ২০ দিন হতে চললেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে এখনো করোনাভাইরাস আছে। তবে তাঁর অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের দরকার হচ্ছে না। কিন্তু এখনো তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন।
আজ শনিবার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসক গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিজেন কিটে তিনি এখনো করোনাভাইরাস পজিটিভ। আগামীকাল একবার পিসিআর পরীক্ষা হবে আশা করছি।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মামুন মোস্তাফী বলেন, ‘তাঁর ফুসফুসের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি। তাঁর গলার ইনফেকশনটাও আগের চেয়ে ভালো, কিন্তু পুরোপুরি সারেনি। বাকি বিষয়গুলো স্থিতিশীল আছে। যদিও তাঁর থেরাপি, অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়ালাইসিস নিয়মিত চলছে। নিজের খাওয়া, টয়লেটে যাওয়া, সব নিজেই করছেন। কৃত্রিম অক্সিজেন এখন লাগছে না। তবে এখনো তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন।’
৪ জুন রাতে ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তবে শনিবার থেকে ধীরে ধীরে তাঁর উন্নতি হতে থাকে। ইতিমধ্যে তাঁর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক এবং ছেলে বারিশ চৌধুরীও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে শিরিন হকের একটি পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। আজ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এখন নেগেটিভ, কিন্তু কাশি হচ্ছে অনেক। শরীর দুর্বল। বসে থাকতে পারি না বেশিক্ষণ। ছেলে এখনো পজিটিভ। তবে ও ভালো আছে। এত দিন ও-ই আমার দেখাশোনা করেছে।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁকে নিয়েও শিরিন হক চিন্তিত। তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতালের ওপর ভরসা আছে। ধীরে ধীরে ওর উন্নতি হচ্ছে। তবে কথা বেশি বলতে পারে না, খুব ক্ষীণ আওয়াজ। একটু একটু কথা এখন বলতে শুরু করেছে। সবাইকে নাকি চিরকুট দিচ্ছে, ডাক্তারদেরও চিরকুট দেয়।’