করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। কাশি আর কিছুটা শ্বাসকষ্ট নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে তিনি এখন চিকিৎসাধীন। এদিকে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রীকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ রোববার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংগ্রাম করছি। জ্বর নেই, কাশি আছে, কিছুটা শ্বাসকষ্ট আছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তরপ্রধান জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শিরীন হকের জ্বর রয়েছে। আজ সন্ধ্যায় তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ছেলে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।
৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা অনেক দিন থেকে কিডনির অসুখে ভুগছেন। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
জাহাঙ্গীর আলম আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা বিষয়ে জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনা চিকিৎসায় ওষুধের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে আনার এবং সারা দেশে প্লাজমা ব্যাংক তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসায় দেশে ওষুধের যে চড়া দাম, তাতে গরিব মানুষের পক্ষে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি সরকারকে দ্রুত করোনায় চিকিৎসার জন্য ওষুধের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।