জাদুঘরটি নতুন হওয়ার পর

>

ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকায় কোনো এক সময় নিমতলী দেউড়ি নামে একটি সুরম্য প্রাসাদ ছিল। এখন সেই প্রাসাদ নেই, তবে এখনো টিকে আছে সেই ভবনের ফটক বা দেউড়িটি, যা নিমতলীর দেউড়ি নামে সবার কাছে পরিচিত। নামে ফটক বা দেউড়ি হলেও এটি আসলে ছোটখাটো একটি ভবন। এই ভবনেই ছিল বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রথম কার্যালয়। এশিয়াটিক সোসাইটি ভবনটির সংস্কার করেছে এবং এটিকে ঐতিহ্য জাদুঘর হিসেবে রূপান্তরিত করেছে। গত বছর জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। এই জাদুঘরে আছে সতেরো থেকে উনিশ শতকের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন। জাদুঘরটি প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। ছবিগুলো শুক্রবারের।

সংস্কারের পর নিমতলী দেউড়ি।
সংস্কারের পর নিমতলী দেউড়ি।
মূল কাঠামো রেখে বেশ খানিকটা বদলে গেছে ঐতিহাসিক দেউড়িটি।
দোতলার কামরায় প্রদর্শিত আলোকচিত্র, তৈলচিত্র, পোশাক, তৈজসপত্র ইত্যাদি।
নায়েব নাজিমের দরবার।
সাজিয়ে রাখা হয়েছে উনিশ শতকের তৈজসপত্র।
কেটলি, ল্যাম্প, কলস, হুঁকার খোল ও ঘণ্টা।
১১৬ বছরের পুরোনো হাতে লেখা কোরআন শরিফ।
রানি ভিক্টোরিয়ার আমলের বিভিন্ন মুদ্রা।
দেউড়ির পেছনের অংশ।