জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মোনাজাত করেন। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মোনাজাত করেন। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ছবি: পিআইডি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার স্মরণে নির্মিত জাদুঘরের (পূর্বতন বাসভবন) সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

প্রতিকৃতির বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত বিশেষ মোনাজাতে এ সময় অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে—শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের বুলেটের নির্মম আঘাতে শহীদ হন।

জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মেয়ে বিশ্ব অটিজম আন্দোলনের অগ্রপথিক সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের স্মৃতিবিজড়িত ভবনটিতে যান (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর) এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন। যেখানে ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের বর্বরতম এক হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী পরে বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে তাঁর মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ভাই—শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ সেদিনের ঘটনায় নিহত পরিবারের অন্য সদস্যদের সমাহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর কবরগুলোয় ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন।

প্রধানমন্ত্রী সেখানে সুরা ফাতিহা পাঠ করেন এবং বিশেষ দোয়ায় শরিক হন।