জলোচ্ছ্বাসে ডুবেছে ফেরির গ্যাংওয়ে ও সংযোগ সড়ক

পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপার ফেরির গ্যাংওয়ে ও সংযোগ সড়ক। ছবি: সাইয়ান
পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপার ফেরির গ্যাংওয়ে ও সংযোগ সড়ক। ছবি: সাইয়ান

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে পটুয়াখালীতে জোয়ারের সময় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উঁচু জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে গিয়েছে। এ সময় তলিয়ে যাচ্ছে ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কও। ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গলাচিপার সঙ্গে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার থেকে পটুয়াখালীর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। আজ তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকালে জোয়ারের সময় সরেজমিন দেখা যায়, ফেরিঘাটের চারপাশে পানি আর পানি। ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে আছে। সংযোগ সড়কও ডুবে আছে। ঘাটের দুই পাড়ে অপেক্ষমাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে কখন ভাটা হবে, পানি নেমে যাবে।

নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুই দিন ধরে জোয়ারের পানিতে ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ও সংযোগ সড়ক তলিয়ে যায়। এ কারণে ফেরিঘাটে দিনে ও রাতে দুই দফায় চার ঘণ্টা করে আট ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়ছেন পণ্যবাহী যানবাহনের চালকেরা।

গলাচিপা ফেরিঘাটের ইজারাদার শিবু দাস বলেন, ‘শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগই নয়, স্বাভাবিক জোয়ারের ফেরির গ্যাংওয়ে ও ফেরিঘাটটির সংযোগ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। এমনিতেই করোনার কারণে লোকসানে পড়তে হয়েছে। তার ওপর ফেরিঘাট জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পার হয়। কিন্তু ফেরিঘাট সচল থাকলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।’