আজ ছোট্ট আয়েশার জন্মদিন। সকাল থেকেই বাসায় রান্নায় ব্যস্ত মা। মেয়ের জন্মদিনে একটু ভালো–মন্দ না হলে কী চলে! দুপুরে বাড়ির কাছের তুরাগ নদে বাবা গোসল করতে যাচ্ছিলেন। হয়তো বাবার সঙ্গে যাবে বলে বায়না ধরেছিল ছোট্ট মেয়েটি। আবদার রাখতে মেয়েকে নিয়ে গোসল করতে যান বাবা। কে জানত, সেখানেই মেয়ে হারিয়ে যাবে চিরতরে।
ঢাকার অদূরে তুরাগ নদের তীরে নয় বছরের আয়েশাকে দাঁড় করিয়ে রেখে গোসল করতে নামেন বাবা মো. সোহেল মিস্ত্রি। সোহেল পানিতে নেমে কিছু দূর যেতেই তাঁর অজান্তে আয়েশাও পানিতে নেমে পড়ে। একটু পরে পেছনে তাকিয়ে মেয়েকে আর দেখতে পাননি বাবা সোহেল। পরে তাঁর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে নদে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। প্রায় ২০ মিনিট পর আয়েশাকে পানি থেকে উদ্ধার করা হয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আয়েশা মিরপুরের জাহানারাবাদে মা-বাবা ও ছোট বোনের সঙ্গে থাকত। বাবা সোহেল মিস্ত্রির গ্যারেজের ব্যবসা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, নদের পাশে তাঁর চা-পানের দোকান। শিশুটির বাবার চিৎকারে তিনি ছুটে যান। প্রায় ২০ মিনিট পর শিশুটিকে পানি থেকে উদ্ধার করা হয়।