কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবির রহমানের (২৩) মরদেহ নিতে রাজি হয়নি তাঁর পরিবার। এ জন্য ঘটনার চার দিন পর তাঁর মরদেহ আজ সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জেই দাফন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আবিরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা আবিরের মরদেহ নিতে রাজি হননি। আবিরের বাবা সিরাজুল ইসলামের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘যে ছেলে জঙ্গি হয়েছে সে ছেলের মরদেহ আমরা নেব না। জঙ্গি ছেলের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’ ওসি জানান, এ কারণে আইন অনুযায়ী মরদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, আবিরের মরদেহ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে আবিরের মরদেহ কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। সেখান থেকে কাফনের কাপড় পরিয়ে মরদেহ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জানাজা পড়ান পৌর কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহতাব উদ্দিন। তবে জানাজায় অন্য কোনো লোক অংশ নেয়নি। এরপর মরদেহ দাফন করা হয়।
আবির কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।